—প্রতীকী চিত্র।
অশোধিত তেলের চড়া দামে ফুলেফেঁপে ওঠা আমদানি বিল কমাতে বহু দিন ধরে দেশে জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধির সওয়াল করছে কেন্দ্র। দূষণ কমানোর পাশাপাশি এ জন্যও বিকল্প জ্বালানিতে বেশি জোর দিচ্ছে। এ বার তাদের বার্তা, দেশীয় সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিতেই বিভিন্ন বিদেশি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কিছু শিল্পে উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক উৎসাহ এবং পণ্যের মানোন্নয়নে জোর দেওয়ার পথে হেঁটেছে সরকার। যার ফল মিলেছে হাতেনাতে। অত্যাবশ্যক নয়, এমন পণ্যের আমদানি কমানো গিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে টিভি, টায়ার, এসি-র গ্যাস কম্প্রেসর ইত্যাদি।
অশোধিত তেল ছাড়াও ভারত সোনা, বৈদ্যুতিন পণ্য, ডাল, সার, যন্ত্রপাতি, ওষুধের মতো পণ্য বেশি আমদানি করে। অধিকাংশই কেনে চিন, আমেরিকা, সুইৎজ়ারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, হংকং, ইরাক এবং জার্মানি থেকে। কিন্তু আমদানি বাড়লে ডলার লাগে বেশি। ফলে তার চাহিদা বাড়ায় নামে টাকার দাম। এক সরকারি আধিকারিকের দাবি, অর্থনীতির খাতিরেই অত্যাবশ্যক নয় এমন পণ্যের আমদানি কমিয়ে রফতানি বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। দেশে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি পণ্যে শুল্ক বসাচ্ছে। সম্প্রতি ল্যাপটপ, কম্পিউটারের মতো পণ্য আনার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করেছে। বন্ধ করা হচ্ছে নিম্ন মানের সস্তার পণ্য ভারতীয় বাজারে ঢোকার পথ।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, গত এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে ভারতে আমদানি ১২.২৩% কমে হয়েছে ৩২,৭০০ কোটি ডলার। বাণিজ্য ঘাটতিও (১১,৬০০ কোটি) মাথা নামিয়েছে। শিল্পের বক্তব্য, চিন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, হংকং, বাংলাদেশ থেকে খেলাধূলোয় ব্যবহৃত জুতো, স্যান্ডাল, জুতোর সোল কেনা হচ্ছে কম। চিনের খেলনা আমদানি কমেছে। একই ছবি টিভি, এসি কম্প্রেসর, টায়ারের মতো ক্ষেত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy