প্রতীকী ছবি।
সংসদে পাশ হয়েছে আগেই। বিতর্কও কম হয়নি। তবে আর দেরি করতে চাইছে না কেন্দ্র। মাস দুয়েকের মধ্যেই রূপায়ণ করতে চাইছে চারটি শ্রম বিধি। যা প্রতিস্থাপন করবে এখন চালু থাকা ৪৪টি শ্রম আইনকে। সে ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে কর্মীদের বেতন কাঠামো পুনর্গঠন করতে হবে। মোট বেতন ও প্রভিডেন্ড ফান্ড খাতে সংস্থার খরচ বাড়লেও, কর্মীদের হাতে পাওয়া টাকার অঙ্ক কমতে পারে। আবার যে সমস্ত সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা ৩০০-র মধ্যে, সেখানে ছাঁটাই করতে বা কারখানা বন্ধ করতে সরকারের সায় লাগবে না। এই নিয়ম এখন চালু ১০০ জন পর্যন্ত কর্মী থাকা সংস্থার ক্ষেত্রে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বিধি চালু করলেও তার অধীনে থাকা বিভিন্ন নিয়ম কার্যকর করতে বাধা তৈরি হতে পারে শ্রমিক ইউনিয়নগুলির তরফে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে এখনই কতটা কার্যকর করা যাবে, সন্দেহ তৈরি হয়েছে তা নিয়েও।
শিল্প ক্ষেত্রে সম্পর্ক, মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ— এই চারটি বিধি পাশ করেছে কেন্দ্র। এর অধীনে বিভিন্ন নিয়মও চূড়ান্ত করেছে। শ্রম মন্ত্রক গত ১ এপ্রিল থেকে সেগুলি চালু করতে চেয়েছিল। কিন্তু শ্রমের বিষয়টি যৌথ তালিকার অন্তর্গত হওয়ায় এবং বিভিন্ন রাজ্য এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি না-করায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে তা চালু করা সম্ভব নয়। এক সূত্রের বক্তব্য, ‘‘অনেক রাজ্য এখনও নিয়ম চূড়ান্ত করেনি। অনেকে কিছুটা এগিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষে খুব বেশি অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবর্তিত বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্থাগুলিকেও সময় দিতে হবে।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বিধি চালু হলে সংস্থাগুলিকে কর্মীদের বেতন কাঠামো বদলাতে হবে। বিধি অনুযায়ী, ভাতার সর্বোচ্চ অঙ্ক হতে পারবে মোট বেতনের ৫০%। বাকি ৫০% মূল মজুরি (মূল বেতন এবং মহার্ঘভাতা)। তার উপরে ভিত্তি করেই প্রভিডেন্ড ফান্ডের হিসেব হবে। কর ও প্রভিডেন্ড ফান্ডের দায় কমাতে অনেক সংস্থা মূল বেতন কম রাখে। বিধি চালু হলে তাদের খরচ বাড়বে। তবে কর্মীদের হাতে পাওয়া টাকার অঙ্ক কমতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy