বিশেষজ্ঞদের অন্য একটি অংশ আবার বলছেন এ দেশে অতিরিক্ত কঠোর নিয়ন্ত্রণ বিধির কথা। যেমন, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি মেনে আর্থিক সংস্থাগুলিকে ঋণের অন্তত ৪০% অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলিকে দিতে হয়।
ফাইল চিত্র।
আমেরিকার সিটি গোষ্ঠী ১২,৩২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতে নিজেদের খুচরো ব্যবসা অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দিতে চলেছে। গুটিয়ে আনছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার অনেকটাই। এতে অনেকে অবাক হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই ঘটনা আদৌ নজিরবিহীন নয়। বিগত কয়েক বছরে ভারত থেকে বিদেশি ব্যাঙ্কের আংশিক কিংবা পুরোপুরি ব্যবসা গোটানোর উদাহরণ রয়েছে।
ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ভারত থেকে ব্যবসা গোটানো বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক কৌশলের অঙ্গ হতে পারে। তা ছাড়া প্রযুক্তির উন্নতির ফলে অনলাইন ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেন বাড়ছে। গ্রাহকদের সরাসরি ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে কাজ কমছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। আর বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির কার্যকলাপ মেট্রো ও অন্যান্য বড় শহরেই বেশি। ফলে তাদের বেশি শাখা রাখার প্রয়োজনীয়তাও কমছে। বিশেষজ্ঞদের অন্য একটি অংশ আবার বলছেন এ দেশে অতিরিক্ত কঠোর নিয়ন্ত্রণ বিধির কথা। যেমন, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি মেনে আর্থিক সংস্থাগুলিকে ঋণের অন্তত ৪০% অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলিকে দিতে হয়।
ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেনের বক্তব্য, ‘‘ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের যুগে বড় শহর থেকে শাখা গোটানো অবশ্যই একটা উদ্দেশ্য। আবার পাশাপাশি, শুধু মেট্রো শহরে ব্যবসা করে ৪০% ঋণ অগ্রাধিকার ক্ষেত্রকে দেওয়াও কঠিন। আবার খুচরো ব্যবসায় মুনাফা ব্যাঙ্কিংয়ের অন্যান্য শাখার তুলনায় অনেকটাই কম। এই সবই বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির ভারতে ব্যবসা বৃদ্ধিতে আগ্রহ হারানোর কারণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy