পাওনা মেটাচ্ছে না ঝাড়খণ্ড। বকেয়া কয়েক হাজার কোটি। তার ঠেলায় কয়লা কেনার টাকায় টান পড়েছে ডিভিসি-র। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্ধেকেরও নীচে নেমে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড সরকার বকেয়া বিলের টাকা কিছু কিছু করে মিটিয়ে দিচ্ছিল। তার সঙ্গেই দিচ্ছিল নতুন বিলের টাকা। কিন্তু কয়েক মাস ধরে তারা বকেয়া মেটাচ্ছে না। আর তাতেই সঙ্কটে পড়েছে ডিভিসি। কয়লা কেনার টাকা জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে সংস্থাকে। ডিভিসি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, বকেয়া মিলছে না বলে কোল ইন্ডিয়ার টাকা ঠিকঠাক মেটানো যাচ্ছে না। যখন যেমন টাকা দেওয়া হচ্ছে সেই মতো কোল ইন্ডিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠাচ্ছে।
কোল ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, ডিভিসি-র কাছে তাদের পাওনা ১৪০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। আর এই বকেয়া না-মেটালে ডিভিসি-র চাহিদা মতো কয়লা দেওয়া যাচ্ছে না।
ডিভিসি-র মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬৩০০ মেগাওয়াটের মতো। সংস্থার ছ’টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৪টি ইউনিট রয়েছে। পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে প্রতিদিন সংস্থার কয়লা লাগে প্রায় ১৭ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু কোল ইন্ডিয়ার কয়লার জোগান এখন এক-তৃতীয়াংশ হয়ে গিয়েছে। ফলে ডিভিসি-ও তাদের ক্ষমতা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। সংস্থাটি যে-সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে, সেখানেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, কয়লা সঙ্কটের কারণে ডিভিসি-র বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩০০০ মেগাওয়াটে এসে ঠেকেছে।
ডিভিসি-র এক কর্তা জানান, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক ঝাড়খণ্ড সরকারকে ২০১৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ডিভিসি-র যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলেছে। তার জন্য ঝাড়খণ্ড বাজার থেকে ঋণ নিতে চাইলে কেন্দ্র সহযোগিতা করবে। ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ সচিব এস কে জি রাহাতে অবশ্য বলেছেন, ‘‘একটি প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকা পেয়েছি। সেখান থেকে ডিভিসি-র বকেয়া মেটানো শুরু করে দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy