আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগকারী দু’টি বিদেশি ফান্ড সংস্থাকে সম্প্রতি সতর্ক করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। তারা শেয়ারহোল্ডিংয়ের কাঠামো জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় দিয়েছে জরিমানা এবং নথিভুক্তি বাতিলের হুঁশিয়ারি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এ বার শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা এবং মোদী সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। তাদের দাবি, আদানি কাণ্ড ভারতের ‘বৃহত্তম কেলেঙ্কারি’। সেবি-র পদক্ষেপে তার কিছু কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হচ্ছে। কিন্তু মূল তদন্তে প্রায় দু’বছর দেরি হওয়ার সুবিধা পাচ্ছে আদানিরা। সেবি কিংবা আদানি গোষ্ঠী কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘জোড়া ইঞ্জিনধারী মোদানির (মোদী ও আদানি) গল্পে বিরতি নেই। সেবি মরিশাসের দু’টি ফান্ড সংস্থাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এলারা ইন্ডিয়া অপরচুনিটিজ় ফান্ড এবং ভেসপেরা ফান্ড। দু’টিই নিয়ন্ত্রণ করে এলারা ক্যাপিটাল। সেবি বলেছে, শেয়ারহোল্ডারদের সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য না জানালে তাদের জরিমানা এবং লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।’’ রমেশের অভিযোগ, আদানিরা এই দুই সংস্থাকেই তাদের ‘বেনামী’ পুঁজি পরিচালনার কাজে ব্যবহার করে। এই দুই ফান্ড দোষ স্বীকার না করে এবং কিছু টাকা দিয়ে অভিযোগ মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছিল সেবি-কে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইন্ডিয়া অপরচুনিটিজ় ফান্ড তাদের ৯৮.৭৮% তহবিল আদানি গোষ্ঠীর তিনটি সংস্থায় ঢেলেছিল। ২০২২ সালের জুনে ভেসপেরা ঢেলেছিল ৯৩.৯%। রমেশের বক্তব্য, সেবি-র তদন্তে অনিয়মগুলি স্পষ্ট হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)