চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭.৮%। যা সমস্ত পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ফলে অনেকেই অবাক। বৃদ্ধির এই হিসাব নিয়ে সোমবার সন্দেহ প্রকাশ করল কংগ্রেস। কোনও কোনও মহলের আবার ব্যাখ্যা, শুল্ক কার্যকরের আগে ভারত থেকে আগেভাগে অনেক পণ্য আমদানি করেছে আমেরিকার সংস্থাগুলি। তার প্রতিফলন ঘটেছে জিডিপি বৃদ্ধির হারে। এই সুবিধা সেপ্টেম্বর থেকে আর পাওয়া যাবে না।
এ দিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশে এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘অহেতুক উচ্ছ্বাসের কিছু নেই। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের রিপোর্টে অর্থনীতি নিয়ে যে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছিল, এই পরিসংখ্যানে তার ছাপও রয়েছে। শহরে কেনাকাটা এখনও দুর্বল। গ্রামাঞ্চলের চাহিদাও সমস্যায়। নমিনাল জিডিপি (মূল্যবৃদ্ধির হিসাব কষে) বৃদ্ধির হার গত জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় কম।’’ রমেশের আরও বক্তব্য, বৃদ্ধির হার মূলত নির্ভর করে দেশের বাজারে চাহিদা, বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপরে। এই সমস্ত মাপকাঠিকে ধরলেও ১.৮ শতাংশের একটা ফারাক দেখা যাচ্ছে। সরকারকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আবার ব্রোকারেজ সংস্থা নোমুরার বক্তব্য, এই হারকে নীতির সাফল্য বলে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। মূল্যবৃদ্ধির হার এখন নিচু। সেই সঙ্গে চড়া শুল্ক কার্যকরের আগে আমেরিকা অনেক পণ্য আমদানি করেছে। এই দুয়ের প্রভাব পড়েছে পরিসংখ্যানে। কিন্তু এর পরে এই সুবিধা আর পাওয়া যাবে না। অর্থনীতির গতি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে ধাক্কা খাবে। সেই ঝুঁকি কমাতে দেশের বাজারের চাহিদা বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। নোমুরার মতে, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক যদিও সুদের হার আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনে, তা হলে তার সুবিধা পাবে অর্থনীতি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)