চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষের খরচের ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, গত এক দশকে কৃষি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকৃত মজুরি কমেছে। মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে তাদের বক্তব্য, আসন্ন বাজেটে ‘সত্যিকারের ৪০০ পার’-এর সুযোগ এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে। সারা দেশে ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা করুন তিনি।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্রের নেতৃত্বাধীন দলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নত ও উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলিতে গতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গ্রামাঞ্চলে খরচের ক্ষমতা বেড়েছে। যা জাতীয় অর্থনীতির উজ্জ্বল বিন্দু। সঙ্গে রয়েছে কৃষিতেও উন্নতির সম্ভাবনা। যদিও দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা তোলা নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে সেখানে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক যথারীতি জানিয়েছে, প্রতিবেদনের মতামত লেখকদের নিজস্ব।
অন্য দিকে, আজই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, ১০ বছর আগে শ্রমিকদের যে ক্রয়ক্ষমতা ছিল, এখন তার চেয়ে কম। সরকারি তথ্য-সহ বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান এ ব্যাপারে একমত। তাঁর কথায়, ‘‘মজুরির ধীর বৃদ্ধি এবং চড়া মূল্যবৃদ্ধি মিলিয়ে প্রকৃত মজুরি নজিরবিহীন ভাবে কমেছে।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের লেবার ব্যুরোর মজুরি সূচক তুলে ধরে তাঁর দাবি, ২০১৪-২০২৩ সালের মধ্যে প্রকৃত মজুরি এক জায়গায় থমকে গিয়েছে। বস্তুত, ২০১৯-২০২৩ সালে তা কমেছে। কৃষি মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মনমোহন সিংহের আমলে কৃষি শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি ৬.৮% হারে বেড়েছিল। আর মোদীর আমলে তা কমেছে ১.৩% হারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)