জুলাই-সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি কমার হার। প্রতীকী ছবি।
অনিশ্চিত বিশ্ব অর্থনীতির মধ্যেও ভারতের অবস্থা অনেক ভাল বলে প্রায়ই দাবি করেন মোদী সরকারের মন্ত্রী-আমলারা। বৃহস্পতিবারও ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সভায় ভিডিয়ো বার্তা মারফত মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন বলেন, কেন্দ্রের সংস্কারমুখী পদক্ষেপে দেশের আর্থিক পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। তবে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে এ দিনই এক সমীক্ষায় প্রকাশ, ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ১৮ মাস ধরে ১০ শতাংশের উপরে। যার ধাক্কায় ১২ মাস ধরে সেগুলির বিক্রি কমছে। ক্রেতারা কম কিনছেন এমন সব জিনিস, যা চাহিদা বৃদ্ধির অন্যতম মাপকাঠি। সঙ্কটের কেন্দ্রে সেই গ্রামীণ বাজার। সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী যেখানে বেকারত্বও সম্প্রতি ৮% ছাড়িয়েছে। আর উপদেষ্টা সংস্থা নিয়েলসেন-আইকিউয়ের সমীক্ষা বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি কমার হার।
সমীক্ষাটি বলছে, খরচ বাঁচাতে বহু ক্রেতা এখনও পণ্যের ছোট প্যাকেট কিনছেন। তবে তাতেও সাশ্রয় হচ্ছে কম। কারণ, অনেক ভোগ্যপণ্য সংস্থা দাম এক রেখে প্যাকেট ছোট করেছে। এপ্রিল-জুনের চেয়ে জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি কমেছে ০.৯%। গ্রামাঞ্চলে তা ৩.৬%। আগের ত্রৈমাসিকে ছিল ২.৪%। তবে শহরাঞ্চলে খাবারের চাহিদা বৃদ্ধির জেরে বিক্রি ১.২% বেড়েছে।
নিয়েলসেন-আইকিউ (ইন্ডিয়া)-র এমডি সতীশ পিল্লাইয়ের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে অনিয়মিত বৃষ্টিপাতও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমিয়েছে। তবে পণ্যের দাম বাড়ায় এই শিল্পের আয় বেড়েছে ৮.৯%। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময়ের তুলনায়ও আয় ও বিক্রি, দু’টোই বেশি।
এ দিন নাগেশ্বরনের দাবি, ৮-১০ বছরের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হবে। সেই ছবি দেখতে চান সকলেই। কিন্তু জল্পনা, প্রদীপের নীচে আঁধার কাটছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy