শেয়ার বাজারে ধসের জেরে ৪৫ মিনিট বন্ধ কেনাবেচা। ছবি: এপি
আমেরিকার শেয়ার বাজারে ছিল ১৫ মিনিট। ভারতে সেটাই করতে হল ৪৫ মিনিট। করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বাজারের পতন এতটাই যে ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে হল শেয়ার কেনাবেচা। সেনসেক্স ও নিফটি দুই সূচকই ‘লোয়ার সার্কিট’-এ পৌঁছে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল ফিফটি (নিফটি)। তবে সেই ৪৫ মিনিট কাটতেই ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার। ৩০০০ পয়েন্টেরও বেশি নেমে যাওয়া সেনসেক্স পতন তো রোখা গেলই, বরং গতকালের চেয়ে উপরেও উঠে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। তবে এখন ফের নীচের দিকে।
শুক্রবার সকালে ১৫০০ পয়েন্ট নীচে নেমে খোলে সেনসেক্স। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই পতন ছাড়িয়ে যায় ৩০০০ পয়েন্টেরও বেশি। আপাতত ২৯৬৮৭ পয়েন্টে থেমে রয়েছে সেনসেক্স। নিফটিও খোলে প্রায় ৫০০ পয়েন্ট নীচে। ৯৬৬ পয়েন্ট নেমে ৮৬২৪ পয়েন্টে থেমেছিল নিফটির সূচক। তবে সেই ৪৫ মিনিট কাটার পর ফের কেনাবেচা শুরু হতেই ঊর্ধ্বমুখী বাজার।
কয়েক দিন আগে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে শেয়ার বাজারে ব্যাপক পতনের জেরে আমেরিকার শেয়ার বাজারেও একই ভাবে ১৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা। এ বার ভারতকেও সেই পথে হাঁটতে হল এবং তার তিন গুণ অর্থাৎ ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে হল শেয়ার কেনাবেচা। এর আগে ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে এই ভাবে বাজারে পতনের জেরে বন্ধ রাখতে হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা। এর মধ্যে ২০০৯ সালে অবশ্য উল্টো পরিস্থিতি ছিল। ওই সময় বাজার ব্যাপক হারে উপরে ওঠার জন্য় বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসে ভারতে প্রথম মৃত্যু কর্নাটকের বৃদ্ধের
আরও পড়ুন: করানোভাইরাসে আক্রান্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী
গত কাল বৃহস্পতিবারই এক দিনে সর্বনিম্ন পতনের রেকর্ড দেখেছিল শেয়ার বাজার। আজ সেই নজিরও ছাপিয়ে গেল। ২০০৮ সালে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার সময়ে শেয়ার বাজারে যে ভাবে ধস নেমেছিল, করোনা ভাইরাসের জেরেও বাজারের পরিস্থিতি সেই জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy