ছবি রয়টার্স।
করোনা সামলাতে লকডাউনের পরে ব্যাঙ্কের সীমিত সংখ্যক শাখা খোলা ছিল। কেন্দ্রের নির্দেশ মতো বুধবার ১ এপ্রিল থেকে সব শাখাই সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। তার উপরে নতুন মাসের শুরুতে এ সপ্তাহে ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের ভিড় অনেকটাই বাড়বে বলে ধারণা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা চালাতে গিয়ে কর্মীরা যাতে সমস্যায় না-পড়েন এবং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি না-হয়, তা নিয়ে সহযোগিতার জন্য রাজ্যের কাছে আর্জি জানাল রাজ্য ভিত্তিক ব্যাঙ্কার্স কমিটি (এসএলবিসি)। কী ধরনের সহযোগিতা চাই, তা জানিয়ে রবিবারই মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যে এসএলবিসির আহ্বায়ক মুক্তিরঞ্জন রায়।
এমনিতেই মাসের শুরুতে পেনশন তোলার ভিড় বাড়ে। ব্যাঙ্কে আসেন বহু প্রবীণ নাগরিক। পাশাপাশি, কেন্দ্রের ঘোষণা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনায় মহিলা জনধন অ্যাকাউন্টহোল্ডারদের এপ্রিল থেকেই মাসে ৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এ ছাড়া বার্ধক্য ভাতা-সহ আরও কিছু অনুদানও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বিলি করা হয়। ফলে এ সপ্তাহ থেকে ব্যাঙ্কে গ্রাহক সমাগম বাড়বে বলে মনে করছে এসএলবিসি।
মুক্তিরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের কর্মীদের কথা গ্রাহকেরা শুনবেন না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রতি শাখায় গ্রাহকদের ভিড় সামলাতে রাজ্যকে পুলিশের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছি।’’ তাঁর বক্তব্য, কর্মীদের পক্ষে একসঙ্গে পরিষেবা দেওয়া ও গ্রাহকদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এখন যথেষ্ট সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীও পাওয়া যাবে না। তাই পুলিশই একমাত্র ভরসা।
তার উপরে টাকা দিয়েও করোনা থেকে বাঁচতে স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবস্থা করতে পারছেন না বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তাই সরকারি পরিকাঠামোর মাধ্যমে সেগুলি ব্যাঙ্ক মিত্র-সহ সব কর্মীর কাছে পৌঁছে দিতে রাজ্যকে আর্জি জানিয়েছে এসএলবিসি। এ ছাড়া এখন যানবাহন বন্ধ। তাই ব্যাঙ্ককর্মীরা যাতে শাখায় পৌঁছতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতেও সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান মুক্তিরঞ্জনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy