Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অর্থনীতি বেহালই, মত উপদেষ্টা সংস্থার

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশে নামার ক্ষত এখনও দগদগে। নাগাড়ে বিঁধছেন বিরোধীরা। জল্পনা চলছে, আগামী দিনে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের পদক্ষেপগুলি কতটা কাজে দেবে তা নিয়ে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ও মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০১
Share: Save:

চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাসে কাঁচি চালিয়েছে আইএমএফ থেকে শুরু করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, মুডি’জ়ের মতো একাধিক মূল্যায়ন সংস্থা, এমনকি রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। সোমবার তা কমাল আর এক মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল। জানাল, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এই আর্থিক বছরে ভারতে বৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৫.১%, যেখানে তাদের আগের পূর্বাভাস ছিল ৬.৩%। এ দিনই অর্থনীতির ঢিমে গতি বহাল থাকার দুঃসংবাদ শুনিয়েছে উপদেষ্টা সংস্থা ডান অ্যান্ড ব্রডস্ট্রিট। তাদের মতে, বাজারে চাহিদা নেই। বিনিয়োগ এতটাই ঝিমিয়ে যে, শিল্পোৎপাদন দ্রুত বাড়ার অবস্থায় নেই।

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশে নামার ক্ষত এখনও দগদগে। নাগাড়ে বিঁধছেন বিরোধীরা। জল্পনা চলছে, আগামী দিনে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের পদক্ষেপগুলি কতটা কাজে দেবে তা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে ডান অ্যান্ড ব্রডস্ট্রিটের মুখ্য অর্থনীতিবিদ অরুণ সিংহের দাবি, বাজারে গাড়ি-বাড়ির চাহিদা বাড়ছে না। এক দিকে যেমন আয় কমছে সংস্থাগুলির, তেমনই তার বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে সরকারের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে। সঙ্গে রয়েছে বেকারত্ব বাড়ার চাপও। ফলে সঙ্কট সামলাতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি দ্রুত রূপায়ণে জোর দিতে হবে। যার হাত ধরে বাড়বে কর্মসংস্থান।

ডান অ্যান্ড ব্রডস্ট্রিটের সঙ্গে এক মত ক্রিসিলও। বিশেষত আবাসন এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রের বেহাল দশা বৃদ্ধির গতিকে ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছে তারা। তাদের মতে, শিল্পোৎপাদন, রফতানি, ব্যাঙ্কে ঋণের চাহিদা, কর আদায়, পণ্য-পরিবহণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি অর্থনীতির ঢিমে গতির দিকেই ইঙ্গিত করছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ ও উদ্বৃত্ত সম্পদ বিক্রি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আরও পড়ুন: কর্পোরেট কর নিয়ে প্রশ্নের মুখে নির্মলা

ক্রিসিলের দাবি, গত কয়েক বছরে জিএসটি, আবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং দেউলিয়া আইনের মতো সংস্কারের প্রভাব পড়েছে বৃদ্ধির উপরে। তবে অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে বৃদ্ধির রথের চাকায় কিছুটা গতি আসবে বলে আশা তাদের। যদিও গোটা অর্থবর্ষে তার হার ৫ শতাংশের খুব বেশি উপরে যাবে না বলেই মনে করছে সংস্থাটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

India Economic Slowdown Crisil
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE