Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
Cyber Fraud

বাড়ছে সাইবার প্রতারণা, দ্রুত অভিযোগের পরামর্শ

ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনিশেন সেন্টারের (আইফোর সি) বার্ষিক সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, গত তিন বছরে (২০২১-২৩) সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে দেশের মানুষের ১০,৩৯০ কোটি টাকা হাতিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩৪
Share: Save:

সাইবার প্রতারণার প্রথম এক ঘণ্টা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। প্রতারণার ফাঁদে পড়া ব্যক্তিদের তাই বিষয়টি নজরে আসার পরেই প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে ফোন করে কার্ড বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্লক করার পাশাপাশি, টোল ফ্রি নম্বর ১৯৩০-তে ফোন করে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ যত দ্রুত অভিযোগ দায়ের হবে, তত দ্রুত গায়েব হওয়া টাকার এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়া রোখা সম্ভব হবে।

আজ দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনিশেন সেন্টারের (আইফোর সি) বার্ষিক সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, গত তিন বছরে (২০২১-২৩) সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে দেশের মানুষের ১০,৩৯০ কোটি টাকা হাতিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে মাত্র ১০% অর্থ। মায়ানমার, কম্বোডিয়া, দুবাই, চিন থেকে যেমন আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে, তেমনই পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন জামতাড়াকে ছাপিয়ে নতুন সাইবার প্রতারণার কেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছে হরিয়ানার মেওয়াট এবং দক্ষিণে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই। আজ আইফোর সি-র সিইও রাজেশ কুমার বলেন, প্রত্যেকটি এলাকার অপরাধের আলাদা ধরন রয়েছেন। মেওয়াট এলাকায় সাধারণত পুরনো দ্রব্য বিক্রি করার ওয়েবসাইটের (ওএলএক্স) নামে প্রতারণা চালানো হয়। তেমনি জামতাড়া এলাকায় ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে ওটিপি সংগ্রহ করা হয়। অন্য দিকে, দক্ষিণে বিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বা কখনও শুল্ক বিভাগে কোনও নিষিদ্ধ পণ্য আটকে রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে থাকে প্রতারকেরা। অতীতে গ্রাহকদের সঙ্গে তারা নিজেদের গলায় কথা বললেও, বর্তমানে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে অটোমেটেড ভয়েস কলিং ব্যবস্থা ব্যবহার করা শুরু হয়েছে বলে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন আইফোর সি-এর আধিকারিকেরা।

গত কয়েক বছর ধরেই ১৯৩০ টোল ফ্রি নম্বরটি চালু রয়েছে। শুধু গত ডিসেম্বরেই ১২ লক্ষ অভিযোগ জমা পড়েছে সেখানে। আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব ওই নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থার সিইও রাজেশ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতারণা হয়েছে বুঝলেই প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে ফোন করে কার্ড বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে হবে। তার পরে ১৯৩০-তে ফোন করতে হবে। তা হলে টেলিকলারেরা প্রতারিত ব্যক্তির লেনদেনের (ট্রানজ়াকশন) নম্বরের উপর ভিত্তি করে প্রতারকেরা যে ব্যাঙ্কে টাকা পাঠিয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। যদি প্রতারকেরা প্রথম ব্যাঙ্ক থেকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ব্যাঙ্ক অথবা কোনও ওয়ালেটে টাকা পাঠিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা ব্লক করে দেওয়া হয়। গোটা প্রক্রিয়া প্রতারণার এক ঘণ্টার মধ্যে করা গেলে খোয়া যাওয়া অর্থের অধিকাংশ ফিরে পাওয়া সম্ভব।’’ তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই সাইবার প্রতারণা রুখতে আইফোর সি-এর সঙ্গে ব্যাঙ্ক ও ওয়ালেট মিলিয়ে ২৬৩টি সংস্থা হাত মিলিয়েছে। বাকিদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cyber Security Cyber Crime Cyber Cell
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE