২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর সময়েই রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সমীকরণ চূড়ান্ত হয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির বিবাদ নতুন নয়। সরকারের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই সেই ক্ষতিপূরণ আটকে রাখার অভিযোগ তোলে তারা। সোমবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য, তাঁদের ক্ষতিপূরণ আটকে রাখার কোনও উদ্দেশ্য নেই। রাজ্যগুলির অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের (এজি) থেকে প্রয়োজনীয় নথি ও দাবির শংসাপত্র পেলেই তা মেটানো হবে।
একই দিনে লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি জানান, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত গেমিং সংস্থাগুলি ভারতে ২২,৯৩৬ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি দিয়েছে। যার তদন্ত চলছে। সাইবার ও ক্রিপ্টো প্রতারণায় প্রায় ১০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর সময়েই রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সমীকরণ চূড়ান্ত হয়েছিল। ঠিক হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের রাজস্ব আদায়ের উপরে ১৪% করে রাজস্ব বৃদ্ধি ধরতে হবে। জিএসটি সংগ্রহের পর সেই হিসাব অনুযায়ী কোনও ঘাটতি তৈরি হলে পরবর্তী পাঁচ বছর তা পূরণ করবে কেন্দ্র। ক্ষতিপূরণের টাকা তোলা হবে বিলাসবহুল ও ক্ষতিকর পণ্যের উপরে সেস চাপিয়ে।
এ দিন নির্মলা জানান, গত জুনের অর্ধেক ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর হয়েছে। যথেষ্ট সেস সংগ্রহ হলে বাকিটাও দেওয়া হবে। তবে তিনি এ-ও দাবি করেছেন, গত পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্র ক্ষতিপূরণের টাকা ঠিক ভাবেই মেটাচ্ছে। তবে কোন রাজ্য কত ক্ষতিপূরণ পাবে তার নথি দেওয়ার কথা এজি-র। নির্মলার কথায়, ‘‘রাজ্যগুলি থেকে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত এজি-র নথি আসতে দেরি হলে মেটাতেও দেরি হবে। তা এলেই টাকা মঞ্জুর করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy