কালো টাকায় রাশ টানা ও সব ধরনের লুকোনো আয় নজরে আনার জন্য শুধু নোট বাতিল যথেষ্ট নয়। এর জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা জরুরি বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সমীক্ষা।
গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করার ঠিক ছ’মাসের মাথায় এই মন্তব্য করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ২০১৭ সালে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য করা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমীক্ষায় তারা বলেছে: ‘‘ভারতে কালো টাকা নির্ভর আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ মোট জাতীয় আয়ের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। তবে তার মধ্যে নগদের অংশ মাত্র ১০ শতাংশ। শুধু নোট তুলে নেওয়া এ ধরনের কালো টাকা ঠেকানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। নতুন নোটেও বেআইনি লেনদেন রুখতে পারবে না এই ব্যবস্থা। সব ধরনের গোপন আয় ও সম্পদে লাগাম পরাতে চাই আরও পরিপূরক ব্যবস্থা ও ঢালাও সংস্কার।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সমীক্ষা অনুযায়ী, কালো টাকায় রাশ টানতে সংস্কারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত অর্থনীতিতে আরও স্বচ্ছতা আনা। পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করা, করদাতাকে চিহ্নিত করার নম্বর অনুযায়ী বড় মাপের লেনদেনে নজরদারি, জমি-বাড়ি নথিভুক্তির নিয়মে আরও স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে সমীক্ষা।
ডিজিটাল লেনদেন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, মাত্র ২০ শতাংশ কেনাবেচা এই মাধ্যমে হয়। আর, তার মধ্যে ব্যক্তিগত খরচের ভাগ মাত্র ৫%।
প্রসঙ্গত, অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু এক টুইট-বার্তায় বলেছেন, বড় মাপের নোট নাকচের পরে ছ’মাস কেটে গিয়েছে। এর জেরে অর্থনীতির লাভ কতটা হয়েছে, তার খতিয়ান নেওয়ার সময় এ বার এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy