আমেরিকায় গত ত্রৈমাসিকের সংশোধিত আর্থিক বৃদ্ধি মাথা নামিয়েছে। সারা বিশ্বে বৃদ্ধি কমার ইঙ্গিত। শুল্ক যুদ্ধে সমাধানের দিশাও দেখাতে পারছেন না কেউ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ১০০ পয়েন্ট নামার পরে, বৃহস্পতিবার এক লাফে ৪১২.৮৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স। দাঁড়াল ৩৮,৫৪৫.৭২ অঙ্কে। পাশাপাশি, নিফ্টি আগের দিনের থেকে ১২৪.৯৫ পয়েন্ট উঠে পার করেছে সাড়ে ১১ হাজারের গণ্ডি। দৌড় শেষ করেছে ১১,৫৭০ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আসলে অনিশ্চিত বাজারে পেন্ডুলামের মতোই দুলছে শেয়ার সূচক। যে কারণে কখনও সামান্য জ্বালানিতে উঠছে, তো কখনও একটু ইন্ধনেই পড়ে যাচ্ছে হুড়মুড়িয়ে। এ দিন যেমন উত্থানে জ্বালানি ছিল আগামী ঋণনীতিতে সুদ কমার আশা। তার উপর মার্চের ডেরিভেটিভ লেনদেনের মেয়াদও শেষ হয় এ দিন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ব্যাখ্যা, ভারতের শেয়ার বাজার চাঙ্গা করার পিছনে এখনও প্রধান ভূমিকা পালন করছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। গত বুধবার বাজার পড়লেও সে দিন ১,৪৮১.১১ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছিল ওই সংস্থাগুলি।
শেয়ার বাজার চাঙ্গা হলেও এ দিন ডলারের সাপেক্ষে অনেকখানি কমেছে টাকার দাম। ১ ডলারের দাম ৪২ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৬৯.৩০ টাকা। অবশ্য শুধু টাকাই নয়, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের মুদ্রার মূল্যই হ্রাস পেয়েছে। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যার মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে পারে। এর ফলে বাজারে ডলারের চাহিদা বাড়ার আশায় তার দামও বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy