আগামী ৯ জুলাইয়ের আগেই মোদী সরকার আমেরিকার সঙ্গে প্রথম দফার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সারতে চাইছে। তবে আমেরিকা চাইলেও, দেশের কৃষি পণ্যের বাজার খোলার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে নয়াদিল্লি। বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি, ওয়াশিংটনের দাবি মতো ওই বাজার পুরো খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটিরুজি কৃষি ক্ষেত্রের উপরেই নির্ভর করছে। সরকারি সূত্রের খবর, সঙ্ঘ পরিবারের কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ ও স্বদেশি জাগরণ মঞ্চও এ বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আপস না করার জন্য চাপ তৈরি করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার পণ্যে চড়া শুল্ক বসানোর অভিযোগ তুলে ভারতীয় পণ্যে পাল্টা ২৬% আমদানি শুল্ক চাপান। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন। তার আগে অন্তত এক দফা চুক্তি সারতে বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে আমলারা ওয়াশিংটনে গিয়েছেন, যাতে চড়া শুল্ক এড়ানো যায়। সোমবার জানা গিয়েছে, দর কষাকষিশেষ না হওয়ায় তাঁদের আমেরিকা সফরের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বিরাট বড় বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। ফলে বিষয়টি নিয়ে চড়ছে জল্পনা। কিন্তু আমেরিকা তার ভুট্টা, সোয়াবিন, দুগ্ধজাত পণ্যে শুল্ক কমানোর দাবি তুলেছে। জিএম (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড) শস্যের জন্যও বাজার খুলতে বলছে তারা। বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তারা এ নিয়ে অবস্থান নরম করতে নারাজ। কিন্তু তাতে চুক্তি ভেস্তে গেলে ভারতীয় পণ্যে ২৬% শুল্ক বসার আশঙ্কা। আমেরিকা বেশ কিছু শিল্পজাত পণ্য, গাড়ি, ওয়াইন, পেট্রোপণ্যেও শুল্কে ছাড় চাইছে। নয়াদিল্লির দাবি, ভারতে চর্ম, বস্ত্র, গয়না, প্লাস্টিক শিল্পের মতো যেগুলিতে বিপুল শ্রমিক নিয়োগ হয়, সেই সব পণ্যের সঙ্গে চিংড়ি, তৈলবীজ, কলা, আঙুরে আমদানি শুল্কের হার কমাক আমেরিকা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)