Advertisement
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Crude Oil

তেল নিয়ে চর্চা বিশ্ব জুড়ে

গত অক্টোবরে খোদ আমেরিকান প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারিতে আমল না দিয়ে অশোধিত তেলের উৎপাদন দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেল কমায় ওপেক। কিন্তু তার পরেও দাম বাড়েনি।

An image of Fuel Oil

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ ০৯:৩৯
Share: Save:

নতুন করে বিশ্ব জুড়ে জল্পনা অশোধিত তেলের দর ঘিরে। আর আশঙ্কা বুকে নিয়ে সে দিকে তাকিয়ে ভারতও।

কোভিডকালে অশোধিত তেলের দাম যখন তলানিতে নেমেছিল, ভুগেছে উৎপাদন ও রফতানিকারী দেশগুলি। আবার, তা চড়ার পরে মূল্যবৃদ্ধির ছেঁকায় পুড়েছে ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। কিন্তু ঠিক যখন মূল্যবৃদ্ধিতে কিছুটা রাশ পড়ায় বিভিন্ন দেশ সুদ বৃদ্ধিতে লাগাম টানার কথা ভাবছে, তখনই ফের বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়াতে উৎপাদন আরও ছাঁটার কথা ভাবছে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেকের একাংশ। রবিবার বৈঠকে বসেছে তারা। উৎপাদন আরও এক দফা কমানো হলে এবং তার দাম বাড়লে এ ক্ষেত্রে ভারতের মতো আমদানি নির্ভরদের আশঙ্কা বাড়বে। দেশে জ্বালানির দাম এবং তার জেরে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি— দুই-ই চড়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে। যদিও রাশিয়া উৎপাদন ছেঁটে দাম বৃদ্ধির পথে হাঁটবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

গত অক্টোবরে খোদ আমেরিকান প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারিতে আমল না দিয়ে অশোধিত তেলের উৎপাদন দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেল কমায় ওপেক। কিন্তু তার পরেও দাম বাড়েনি। এপ্রিলে আচমকা সৌদি আরব-সহ ওপেকের কিছু দেশ উৎপাদন দৈনিক আরও ১১.৬ লক্ষ ব্যারেল ছাঁটাইয়ের কথা জানায়। তাতেও লাভ হয়নি। ব্রেন্ট ক্রুড ৭৫ ডলারে ও ডব্লিউটিআই ৭০ ডলারে নামে। এতে অবশ্য আমেরিকা, ইউরোপে জ্বালানির দাম ও মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামিয়েছে। কিন্তু সৌদির মতো দেশে টান পড়েছে রাজস্বে। আইএমএফের হিসাবে, তাদের ভবিষ্যতের মরু শহর প্রকল্পের জন্য ৫০,০০০ কোটি ডলার-সহ যে সব লগ্নি পরিকল্পনা রয়েছে, তার অর্থ জোগাড় করতে তেলের ব্যারেল ৮০.৯০ ডলার হতে হবে। তাই সৌদির তেলমন্ত্রী জোগান কমিয়ে দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা। তবে এ দিনের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত না-ও নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। কারণ রাশিয়া এখন তা চাইবে কি না, সন্দেহ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE