সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাই থেকে সোনা কিনলে রয়েছে বাম্পার লাভের সম্ভাবনা। কারণ আরব মুলুটিতে বেশ সস্তায় বিক্রি হয় হলুদ ধাতু। শনিবার, ৮ মার্চ দুবাইতে ১০ গ্রাম পাকা সোনার (পড়ুন ২৪ ক্যারেট) দর রয়েছে ৩ হাজার ৫১০ দিনার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮৩ হাজার ২৫২ টাকা।
অন্য দিকে, এ দিন কলকাতায় পাকা সোনা কিনতে প্রতি ১০ গ্রামের জন্য দিতে হচ্ছে ৮৬ হাজার ৭০০ টাকা। অর্থাৎ, দুবাইয়ের থেকে এখানে হলুদ ধাতুর দর প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা বেশি। শতাংশের নিরিখে কলকাতায় চেয়ে আরব মুলুকটিতে প্রায় চার শতাংশ সস্তা দরে সোনা কেনার রয়েছে সুযোগ। হায়দরাবাদের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান ৫.৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক-সহ আন্তর্জাতিক বাজারে এ দিন অবশ্য ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে হলুদ ধাতুর দর। সেখানে আউন্স প্রতি সোনা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯১৭ ডলারে। অর্থাৎ, ১০ গ্রামের ক্ষেত্রে দাম দাঁড়াবে ১ হাজার ৩৩ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় টাকার অঙ্কটি দাঁড়াবে ৯০ হাজার ২৫।
বিদেশ থেকে সোনা নিয়ে দেশে ফেরা নাগরিক থেকে শুল্ক নিয়ে থাকে কেন্দ্র। তবে হলুদ ধাতুর ক্রয়মূল্যের উপর এই শুল্ক নির্ধারণ করা হয় না। বর্তমানে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৯২৭ ডলার বা ৮০,৭৮৭.৩৫ টাকা ধরে নিয়ে কর আরোপ করে সরকার। আগে সোনা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কের পরিমাণ ছিল ১৫ শতাংশ। গত বছরের বাজেটে তা কমিয়ে ছ’শতাংশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
আরও পড়ুন:
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমানে কোনও ব্যক্তি আরব মুলুক থেকে ১০ গ্রাম সোনা কিনলে, তাঁকে শুল্ক বাবদ দিতে হবে ৫৫.৬২ ডলার বা ৪ হাজার ৮৪৭ টাকা। সে ক্ষেত্রে ওই পরিমাণ হলুদ ধাতুর দাম দাঁড়াবে আনুমানিক ৮৭ বা ৮৮ হাজার টাকা। ভারতীয় নাগরিকেরা আন্তর্জাতিক বিমানে এক কেজি পর্যন্ত হলুদ ধাতু নিয়ে ওঠার অনুমতি পেয়ে থাকেন।
বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে সোনা দেশে নিয়ে আসার সুযোগও রয়েছে। ভারতীয় পুরুষেরা ২০ গ্রাম পর্যন্ত গয়না বিদেশ থেকে ঘরের মাটিতে আনতে পারেন। মহিলারা এতে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত ছাড় পেয়ে থাকেন। হলুদ ধাতুর পরিমাণ তার চেয়ে বেশি হলে দিতে হয় শুল্ক। যে ভারতীয়রা বিদেশে কমপক্ষে ছ’মাস কাটিয়েছেন তারা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।