ইস্পাত শিল্পের আওতাভুক্ত স্পঞ্জ আয়রন, রোলিং মিলস সংস্থাগুলি ডিভিসি-র বকেয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিল। শুক্রবার ডিভিসি-র চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমার জানালেন, মোট ২৬০০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। ২০০০ কোটি মিটিয়েছে সংস্থাগুলি। বাকি আছে ৬০০ কোটি। এই নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি তাঁরা। এ দিন ডিভিসি-র দাবি, এই প্রেক্ষিতে তাদের বিদ্যুতের মাসুল বাংলা ও ঝাড়খণ্ডে আলাদা বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। ২০২০-২১ থেকে দু’রাজ্যেই মাসুল ৫-৬ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। বকেয়ার অঙ্ক বর্তমান মাসুলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ায় তা বেশি দেখাচ্ছে। এটা ঠিক নয়। যদিও সংগঠনের আর্জিতে মুখ্যমন্ত্রী কিংবা রাজ্য সরকার সাড়া দিয়েছে, এমন খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
সূত্রের দাবি, মূলত ২০১৭-১৮ সাল থেকে ২০২০-২১, এই চারটি অর্থবর্ষে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ওই টাকা বাকি ফেলেছিল ইস্পাত সংস্থাগুলি। বেশির ভাগটা মিটিয়েছে। বাকিটা দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছে। তাদের দাবি, ৫-৬ বছর ধরে ডিভিসি-কে ওই টাকা দেওয়ার সুবিধা পেলে অসুবিধা নেই। না হলে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হবে। সুপ্রিম কোর্ট দু’মাসের মধ্যে মেটাতে বলেছে। সেটা করতে গেলে বহু ছোট সংস্থা বন্ধ হবে।
সুরেশ বলেন, কলকাতা হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন— সকলে বকেয়া মেটাতে বলেছে। ফলে ডিভিসি-র কিছু বলার নেই। তাঁর কথায়, ‘‘বকেয়া নিয়ে তারা যেখানে খুশি যেতে পারে, যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে। আমরা আলোচনার জন্য আগেও তৈরি ছিলাম। এখনও রয়েছি। অথচ তা না করে অযথা বিতর্ক তৈরি করে দেরি করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)