চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮%। যা সমস্ত মহলের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই হিসাব আমেরিকার শুল্ক চাপার আগের। তার চাপার পরে চলতি ত্রৈমাসিকের হার নিয়ে আশঙ্কা থাকবে। যদিও কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নগেশ্বরনের আশা, আমেরিকার চড়া শুল্কে রফতানি ব্যাহত হলেও গোটা বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৩-৬.৮ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। মূল্যবৃদ্ধির হিসাব কষার পরে (নমিনাল জিডিপি) তা প্রত্যাশার (১০.১%) তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জিনিসপত্রের দামের উপরে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কেমন পড়ছে, তার ভিত্তিতে হিসাব কষা জিডিপি-কে বলা হয় নমিনাল জিডিপি। আর মূল্যবৃদ্ধি বাদ দিয়ে হিসাব কষলে পাওয়া যায় প্রকৃত জিডিপি। নাগেশ্বরনের বক্তব্য, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বহু পণ্য ও পরিষেবার খরচ কমছে। খারিফ শস্যের উৎপাদন হয়েছে ভাল। এই সবের ইতিবাচক প্রভাব মূল্যবৃদ্ধির উপরে পড়বে। যা ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নমিনাল জিডিপি কিছুটা কম হতে পারে। তবে উৎসাহব্যাঞ্জক দিক হল, প্রথম ত্রৈমাসিকে তা ৮.৮% ছিল। আশঙ্কার তুলনায় বেশি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)