আগুনে দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। এক ডজনের নাম চড়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩০ টাকা! ডিমের দামের এ হেন ছ্যাঁকায় পকেট পুড়ছে মার্কিন আমজনতার। দর আরও চড়বে বলে মিলেছে ইঙ্গিত। হঠাৎ করে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার নেপথ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমণকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
সম্প্রতি ডিমের দাম সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে আমেরিকার প্রশাসন। সেখানে বলা হয়েছে, রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে প্রোটিন জাতীয় খাদ্যটির দর। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেড এ শ্রেণির এক ডজন ডিম গড়ে বিক্রি হয়েছে ৪.৯৫ ডলারে. ভারতীয় মুদ্রায় যেটা ৪২৯ টাকার কিছু বেশি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ঠিক একই ভাবে বেড়েছিল দাম। ওই সময়ে এক ডজন ডিম কিনতে ৪.৮২ ডলার খরচ করতে হচ্ছিন মার্কিন নাগরিকদের। এ বার সেই রেকর্ড ভেঙে যাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালের অগস্টে আমেরিকার বাজারে সবচেয়ে সস্তায় হয়েছিল ডিম। ওই সময়ে এক ডজনের দাম ছিল মাত্র ২.০৪ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় সেটা মাত্র ১৭৫ টাকা। অর্থাৎ এই সময় সীমার মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ কমেছিল দাম। গত বছরের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেড এ ডিমের দর প্রায় ৬৫ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ভোক্তা মূল্য সূচকের (কনজ়্যুমার প্রাইস ইনডেক্স) তথ্য দিয়ে এ কথা জানিয়েছে সেখানকার সরকার।
বর্তমানে আমেরিকার সব জায়গায় ডজন প্রতি প্রায় পাঁচ ডলারে ডিম বিক্রি হচ্ছে, তা ভাবলে ভুল হবে। কোথাও কোথাও দাম ১০ ডলার ছাপিয়ে গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে ডিমের দামকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসাবে ধরা হয়। বার্ড ফ্লুর প্রকোপ না কমায়ে এটি আরও উপরের দিকে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাখ লাখ মুরগিকে মেরে ফেলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। সেই মতো পোলট্রি ফার্মগুলির মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু এতে বাজারে ডিমের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে দাম।