মোবাইল ফোনের স্ক্রিন ছুঁলেই কেল্লাফতে! ঘরে বসে কী ভাবে তুলবেন প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা?

মোবাইল ফোনে একটা অ্যাপ ডাউনলোড করে নিলেই কেল্লাফতে। রান্নার গ্যাস বুকিং হোক বা পেনশন ও পাসপোর্টের আবেদন— সেখান থেকে সারা যাচ্ছে যাবতীয় সরকারি কাজ। আমজনতার সুবিধার্থে কেন্দ্রের চালু করা সংশ্লিষ্ট অ্যাপটির নাম ‘ইউনিফায়েড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ফর নিউ-এজ গভর্ন্যান্স’ বা উমঙ্গ। বর্তমানে এর মাধ্যমে প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) টাকাও তুলতে পারছেন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা।

ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং জাতীয় ই-গভর্ন্যান্স বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন উমঙ্গ অ্যাপে পিএফ তোলার আবেদনের সবচেয়ে সুবিধা হল, আলাদা করে গ্রাহককে জমা দিতে হয় না কোনও নথি। ঘরে বসে মোবাইল ফোনের এক ক্লিকেই টাকা পেতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফের আওতাভুক্ত। এই তহবিল নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের আওতায় থাকা এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন বা ইপিএফও।

তবে গ্রাহকদের অনেকেই উমঙ্গ অ্যাপের মাধ্যমে পিএফের টাকা তোলার আবেদনের পদ্ধতি জানেন না। এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। আবেদনকারীর ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরের (ইউএএন) সঙ্গে আধারের যোগ থাকতে হবে। এ ছাড়া ইপিএফওর পোর্টালে কেওয়াইসি তথ্য অর্থাৎ আধার, প্যান এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর দিতে হবে তাঁকে।

প্রভিডেন্ট ফান্ডের গ্রাহক অবসরের সময়ে সংশ্লিষ্ট তহবিলে জমানো টাকা তুলে নিতে পারেন। তবে কোনও কারণে কাজ হারালে তাঁকে টাকা তোলার অধিকার দিয়েছে ইপিএফও। এ ছাড়া অসুস্থতা, উচ্চ শিক্ষা, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা এবং বিয়ের জন্যেও পিএফ থেকে টাকা তুলতে পারেন গ্রাহক।

উমঙ্গ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা তুলতে হলে প্রথমে সেটিকে মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করতে হবে। এক পর রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অ্যাপটিতে লগ ইন করবেন গ্রাহক। লগ ইনের সময়ে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে আসবে ওটিপি। সেটি দিয়ে অ্যাপটি খুললে হোমপেজে ‘ইপিএফও সেকশন’ দেখতে পাবেন তিনি। এ বার সেখানে ক্লিক করতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মচারী কেন্দ্রীয় পরিষেবা খুঁজে নিয়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আবেদনের জায়গাটি গ্রাহককে বেছে নিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে একটি ফর্ম। সেখানে ইউএএন নম্বর এবং ওটিপি দিতে হবে। এর পর পিএফ থেকে টাকা তোলার ফর্ম পাবেন তিনি। সেটি মনোযোগ দিয়ে পূরণ করতে হবে। লিখতে হবে যাবতীয় তথ্য। মেডিক্যাল শংসাপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্রও সেখানে জমা করতে হতে পারে।

সব শেষে ‘ট্র্যাক ক্লেম’ সেকশনটিতে ক্লিক করলে জমা পড়বে ওই আবেদনপত্র। ফর্মে গ্রাহককে অবশ্যই প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে কত টাকা তুলতে চাইছেন, তা জানাতে হবে। ইপিএফওর নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারী এই তহবিল থেকে আংশিক টাকা তোলার সুযোগ পেয়ে থাকেন।