১১ বছর পর বাড়বে ন্যূনতম পেনশন? দীপাবলির মুখে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের এই সুখবর শোনাতে পারে কেন্দ্র। আগামী শুক্রবার, ১০ অক্টোবর থেকে দু’দিনের বৈঠকে বসছে ‘এমপ্লোয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন’ বা ইপিএফওর নীতি নির্ধারণকারী সংস্থা ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ়’ (সিবিটি)। সেখানেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই প্রতিষ্ঠান, খবর সূত্রের।
বর্তমানে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা মাসে ন্যূনতম হাজার টাকা করে পেনশন পেয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে এই সীমা নির্ধারণ করে সিবিটি। পরবর্তী এক দশকের বেশি সময়ে এর কোনও পরিবর্তন করেনি কেন্দ্র। উল্লেখ্য, ন্যূনতম পেনশনের পরিমাণ খুব কম হওয়ার কারণে এই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। ইপিএফওর অন্তর্ভুক্ত ‘এমপ্লোয়িজ় পেনশন স্কিম’-এর (ইপিএস) অঙ্ক বাড়িয়ে ৭,৫০০ টাকা করার দাবি তুলেছে তারা।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, শ্রমিক সংগঠনগুলির এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ সিবিটি। ন্যূনতম পেনশনের পরিমাণ সাড়ে সাত গুণ বৃদ্ধির পরিবর্তে ২,৫০০ টাকা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা। আগামী শুক্র ও শনিবারের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সবুজ সঙ্কেত মিললে বিষয়টিতে অনুমোদন দেবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। বিশ্লেষকদের অনুমান, সব কিছু ঠিক থাকলে বছর শেষের আগেই বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের যে পেনশন বৃদ্ধি পাবে, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, সুনির্দিষ্ট একটি সূত্র ব্যবহার করে পেনশনের হিসাব কষে থাকে ইপিএফও। সেটা হল, (পেনশনযোগ্য বেতন X পেনশনযোগ্য পরিষেবা)/৭০। এর মধ্যে পেনশনযোগ্য বেতন বলতে অবসরের সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীর শেষ ৬০ মাসের মূল বেতন (বেসিক পে) এবং ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতাকে (ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স বা ডিএ) হিসাব করা হবে। পেনশেনযোগ্য বেতনের সর্বোচ্চ সীমা আবার প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা স্থির রেখেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এ ছাড়া পেনশেন পেতে একজন কর্মীর চাকরি জীবন কমপক্ষে ১০ বছর হতে হবে বলে জানিয়েছে ইপিএফও।