—প্রতীকী চিত্র।
ব্যতিক্রম ছিল জানুয়ারি, এপ্রিল এবং মে। বছরের বাকি ছ’মাস বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির (এফপিআই) পুঁজির অভিমুখ ছিল ভারতের শেয়ার বাজারে দিকে। বাজার সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে তারা নিট ৫৭,৩৫৯ কোটি টাকা ঢেলেছে। যা এ বছরের বৃহত্তম। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সংস্থাগুলি ৬৬,১৩৫ কোটি টাকা ঢেলেছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কাল মাসের শেষ লেনদেনের দিন। এই পরিসংখ্যানের উল্লেখযোগ্য হেরফের হবে না। তা ছাড়া ভারত এবং বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতেও বিদেশি পুঁজির ঠিকানা বদলের তেমন সম্ভবনা নেই। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে এফপিআইয়ের লগ্নি ১ লক্ষ কোটি টাকার সীমা পার করেছে।
বাজার মহলের ব্যাখ্যা, এখন ভারতীয় অর্থনীতির ভিত পোক্ত। ফলে বাজারে বিদেশি পুঁজি ধারাবাহিক ভাবে ঢুকছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ ছাঁটাই আরও অনুকূল করেছে পরিস্থিতিকে। আমানত ছেড়ে মূলধন আরও বেশি করে শেয়ার বাজারে ঢুকছে। তবে লগ্নিকারীদের বড় অংশ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাদের ঋণনীতি বৈঠক। মূল্যবৃদ্ধি এবং নগদের পরিস্থিতি নিয়ে তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়, সে ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের। মর্নিংস্টার ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চের ভারতীয় শাখার কর্তা হিমাংশু শ্রীবাস্তব বলছেন, ‘‘আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সুদ ছাঁটাইয়ের বৃত্ত শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক সূচকে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, ভাল আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বিভিন্ন সংস্থার আইপিও-র মাধ্যমে বাজারে বড় অঙ্কের পুঁজির প্রবেশ। ফলে বিদেশি লগ্নি আপাতত ভারতমুখী থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy