Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Prawn

শুরু বিকল্প বাজারের তত্ত্বতালাশ

বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন সামুদ্রিক পণ্য রফতানি উন্নয়ন পর্ষদের হিসেব, চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল-ডিসেম্বরে চিনে ভারত থেকে চিংড়ি গিয়েছে ২,৪২,২১৮ টন।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৪৮
Share: Save:

ইউরোপ, আমেরিকার পরে চিন এখন ভারতীয় চিংড়ির বড় বাজার। কিন্তু করোনাভাইরাসের কামড়ে এ বার গ্রীষ্মে সেই বাজার নিয়েই সংশয়ী দেশের মাছ রফতানি শিল্প। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্য থেকে কাঁকড়া রফতানি বন্ধ। সূত্রের খবর, তাই চিনের বিকল্প বাজারের খোঁজ শুরু করেছেন চিংড়ি রফতানিকারীরাও। চেষ্টা চলছে ভারতের চিংড়ির বাজার আছে, এমন দেশগুলিতে রফতানি বাড়ানোর। নজর দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলিতেও।

বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন সামুদ্রিক পণ্য রফতানি উন্নয়ন পর্ষদের হিসেব, চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল-ডিসেম্বরে চিনে ভারত থেকে চিংড়ি গিয়েছে ২,৪২,২১৮ টন। গত অর্থবর্ষে গিয়েছিল ১,৬৫,৯৫০ টন। পরিমাণের দিক থেকে রফতানি বেড়েছে ৪৬%। টাকার অঙ্কে ৭৫%। ফলে ইউরোপ, আমেরিকা এখনও এ দেশের মাছ রফতানিকারীদের কাছে মূল বাজার হলেও, চিনও ক্রমশ লোভনীয় হয়ে উঠছে। বিশেষত গত বছর যখন ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন ও আমেরিকায় ভারতের চিংড়ি-সহ সামুদ্রিক পণ্যের চাহিদা কমেছিল, তখন চিন আমদানি অনেকখানি বাড়ানোয় রফতানি শিল্পে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। শিল্পের হিসেবে, ভারত থেকে মোট যা চিংড়ি রফতানি হয়, টাকার অঙ্কে তার বেশ কিছুটা এখন চিন ও ভিয়েতনামের দখলে। কিন্তু করোনা আতঙ্কে আসন্ন গ্রীষ্মে সে দেশে চিংড়ি রফতানির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংস্থাগুলির মধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন পর্ষদের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর অর্চিমান লাহিড়ি জানান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানে আরও বেশি চিংড়ি পাঠানোর চেষ্টা হবে। যারা চিনের বাজার ধরেছিল, তারা আমেরিকা, ইউরোপে ব্যবসা বাড়ানোর ছক কষছে। তবে রফতানি কতটা ভুগল, তা বোঝা যাবে এপ্রিল-মের পরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Prawn China Export Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE