চলতি বছরে আরও তিন দিন লেনদেন বাকি। তার আগেই ভারতের শেয়ার বাজার থেকে ২০২৫ সালে (২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত) প্রায় ১.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। যা কোনও এক বছরে রেকর্ড। ঋণপত্রে ঢেলেছে ৫৯,০০০ কোটি। এর আগে করোনার পরে ২০২২ সালে এ যাবৎ সর্বাধিক পুঁজি তুলেছিল ওই সব সংস্থা (১.২১ লক্ষ কোটি টাকা)। তার পরের বছর ঢেলেছিল ১.৭১ লক্ষ কোটি। আর ২০২৪ সালে তারা সেই তুলনায় খুব অর্থই লগ্নি করেছিল ভারতের বাজারে, ৪২৭ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামের পতন, বিশ্ব জুড়ে বাণিজ্যে অস্থিরতা, ভারতীয় পণ্যে চড়া শুল্ক, আমেরিকার সঙ্গে নয়াদিল্লির বাণিজ্য চুক্তি আটকে থাকার মতো বিষয়ই এ দেশের বাজার থেকে ওই সব সংস্থাকে বিমুখ করেছে। তার উপরে আমেরিকায় বন্ডের প্রকৃত আয় (ইল্ড) বৃদ্ধি পাওয়া, ডলারের দাম বৃদ্ধি, উন্নয়নশীল দেশগুলির বাজার থেকে উন্নত দেশে লগ্নিকারীদের আগ্রহও এ জন্য দায়ী বলে জানাচ্ছে তারা। সেই তুলনায় দেশীয় লগ্নিকারী তথা মিউচুয়াল ফান্ডের পুঁজি শেয়ারে ঢোকা আরও বেশি অর্থ বেরিয়ে যাওয়া রুখেছে। তবে বাজার মহলের আশা, ২০২৬ সালে ফের ভারতমুখী হবে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার যথেষ্ট ভাল। পরের বছরে সংস্থাগুলির মুনাফা বৃদ্ধির আশা। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হলে অনিশ্চয়তা কমবে। তা ছাড়া আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ কমালে ফের ভারতের মতো দেশে আগ্রহ দেখাতে পারে বিদেশি লগ্নিকারীরা। ফেব্রুয়ারিতে ভারতে বাজেটেও নজর থাকবে তাদের। সংস্কারের ধারা বজায় থাকে কি না, সে দিকে চোখ রেখে লগ্নির সিদ্ধান্ত নিতে পারে ওই সব সংস্থা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)