দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার নামল আট বছরের নীচে। সোমবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে দাবি, সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ১.৫৪%। অগস্টে ছিল ২.০৭%, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৫.৪৯%। বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়াই (-২.২৮%) এর কারণ। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের খাতায়-কলমে খাদ্যপণ্য সস্তা হলেও বাজারহাটে সেই ছবি কই? একাংশ আঙুল তুলছেন হিসাবের প্রক্রিয়ার দিকে। অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে বাজারদরের প্রকৃত ছবির সঙ্গে সরকারের দাবির সামঞ্জস্য নেই বলেই স্বস্তি সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে শুধু পরিসংখ্যানে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশন্স-এর জেনারেল সেক্রেটারি রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘‘খাদ্যপণ্যের দাম বাড়েনি। কিন্তু কমেওনি। কেন্দ্রের দাবির প্রতিফলন নেই বাজারে। বেগুন এখনও বহু জায়গায় কেজি ১০০ টাকা। পটল, ঝিঙে ৬০ টাকা।’’ পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ আগরওয়ালের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ের তুলনায় অক্টোবরে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। স্থির মিনিকেট চাল, সরষের তেল, নুনের। চিনি, গোবিন্দভোগ চাল, মুসুর ডালের বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর মতে, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব চট করে চোখে পড়ে না। সময় লাগে। কিন্তু খুচরো মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামালে ক্রেতাদের বুঝতে পারার কথা। কেন সেটা হচ্ছে না, ভাববার বিষয়। একাংশের বক্তব্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৯.২৪%, সার্বিক হার ৫ শতাংশের বেশি। ওই উঁচু ভিতের নিরিখে হিসাব কম দেখাচ্ছে।পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় হিসাব এবং বাস্তবের মধ্যে ফারাকের মূল কারণ মূল্যসূচকের হিসাবে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের গুরুত্বে অসামঞ্জস্য এবং বহু দিন তার সংশোধন না হওয়া। যেমন, এখন বনস্পতি তেল ব্যবহার হয় না। সরকারি হিসাবে ধরা হয়।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)