বাজার দখলের যুদ্ধে এমনিতেই পিছিয়ে ছিল ‘সরকারি’ ফুটবল। জিএসটি চালুর পরে সেই সঙ্কট আরও বেড়েছে, এমনই অভিযোগ কর্তাদের।
ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প দফতরের অধীনে ‘রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফ্ট’ নামে সংস্থা তৈরি করেছে রাজ্য। পরে তারা তারকেশ্বর ও চন্দননগরের কয়েকশো যুবক-যুবতী এবং আলিপুর জেলের বন্দিদের ফুটবল তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়। কিন্তু তাদের তৈরি প্রায় ৬০ হাজার ফুটবল বিক্রি করা যায়নি। যার মোট বাজার-মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসুর মতো বিশিষ্ট ফুটবলার ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। ভাইস চেয়ারম্যান বিদেশ বলেন, ‘‘অন্তত দেড় কোটি টাকার ফুটবল জমে রয়েছে। সেগুলি বিক্রি হলে নতুন বল তৈরি করব।’’ চেয়ারম্যান মানসের দাবি, ‘‘আর পাঁচটা ঠুনকো চিনা দ্রব্যের মতো ফুটবলের বাজারও ছেয়ে গিয়েছে নিম্ন মানের বলে। নামী সংস্থার লেবেল সেঁটে অত্যন্ত কম দামে সেগুলি বিক্রি হচ্ছে। ফলে, আমাদের তৈরি বল বিক্রি হচ্ছে না। তার উপরে খেলার সরঞ্জামে জিএসটি বসায় সমস্যা আরও বেড়েছে। দামের লড়াই আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে।’’