পুজোর আগে সোনার দামে সামান্য স্বস্তি। টানা ছ’দিন নিম্নমুখী রইল হলুদ ধাতুর দর। ফলে সেপ্টেম্বরে দুর্গোৎসবের মধ্যে অলঙ্কার কেনার ভিড় বাড়বে বলে আশায় বুক বাঁধছেন গয়না ব্যবসায়ীরা। আগামী মাসে সোনা কতটা সস্তা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ‘হলুদ ধাতু’র দামে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অবশ্য সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
গত ৯ অগস্ট হলমার্কযুক্ত (পড়ুন ২২ ক্যারেট) ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৯৬ হাজার ১৫০ টাকা। ওই দিন ২৫০ টাকা কমেছিল দর। এর পর থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত ক্রমাগত কমেছে ‘হলুদ ধাতু’র দর। ১২ তারিখ সর্বাধিক ৮০০ টাকা পর্যন্ত কমে যায় দাম। এই সূচক আগামী দিনে আরও কিছুটা নামবে বলে মনে করছেন অলঙ্কার ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন:
সোনার দামের এ-হেন পতন নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করছেন ‘জেএম ফিন্যান্সশিয়াল সার্ভিসেস কমোডিটি অ্যান্ড কারেন্সি রিসার্চ’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রণব মেহর। তাঁর কথায়, ‘‘সেপ্টেম্বরে হলুদ ধাতুর দরে অস্থিরতা লক্ষ করা যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি, আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতির হার এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের উপরে এটা অনেকাংশে নির্ভর করবে।’’
বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ট্রাম্পের জন্য মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা আসার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া গত সাড়ে তিন বছর ধরে চলে আসা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর নামে ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপড়েন। এগুলির প্রভাব ‘হলুদ ধাতু’র বাজারের উপরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি জটিল হলে ফের যে দাম চড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স’ বা জিএসটিতে বড় বদল আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। বর্তমানে সোনার উপরে রয়েছে তিন শতাংশ জিএসটি। গয়নার ক্ষেত্রে মেকিং চার্জের উপরে পাঁচ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। এই সূচক নিম্নমুখী হলে পুজোর মাসে আরও কিছুটা সস্তা হতে পারে ‘হলুদ ধাতু’র অলঙ্কার।