দিনে মাত্র ৩৩৩ টাকা বিনিয়োগ। তাতেই আঙুল ফুলে হতে পারে কলাগাছ! মেয়াদ শেষে সঞ্চয়ের অঙ্ক দাঁড়াবে ১৭ লক্ষ! না, শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় লগ্নি নয়। ডাকঘরের নিশ্চিত রিটার্নের প্রকল্প থেকে এই টাকা পেতে পারেন বিনিয়োগকারী। তবে এর জন্য মেয়াদি আমানত বা আরডিতে (রেকারিং ডিপোজ়িট) টাকা রাখতে হবে তাঁকে।
ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির মধ্যে মেয়াদি আমানতের তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। বর্তমানে এতে বছরে ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে কেন্দ্র। আরডির ন্যূনতম মেয়াদ হল পাঁচ বছর। তবে বিনিয়োগকারী তিন বছর পর সংশ্লিষ্ট সঞ্চয় প্রকল্প থেকে টাকা তুলে নিতে পারেন। মাসে ১০০ টাকা দিয়েও সংশ্লিষ্ট মেয়াদি আমানতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ডাকঘরের মেয়াদি আমানতে দিনে ৩৩৩ টাকা করে লগ্নি করলে মাসে সঞ্চয়ের অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় ১০ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের আরডিতে মোট বিনিয়োগের অঙ্ক বেড়ে হবে ছ’লক্ষ। বছরে ৬.৭ শতাংশ হারে এই অর্থের উপরে সুদবাবদ বিনিয়োগকারী পাবেন ১.১৩ লক্ষ টাকা। লগ্নিকারী এর পর যদি একই হারে আরও পাঁচ বছর ডাকঘরের আরডিতে সঞ্চয় করেন, তা হলে তাঁর লগ্নির পরিমাণ দাঁড়াবে ১২ লক্ষ টাকা।
এই অর্থের উপরে সংশ্লিষ্ট লগ্নিকারী সুদবাবদ পাবেন ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৫৪৬ টাকা। অর্থাৎ সুদেমূলে তাঁর প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ১৭ লক্ষ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে। তবে প্রথম পাঁচ বছরের পর বিনিয়োগের অঙ্ক কমিয়ে দিলে সুদবাবদ কম টাকা পাবেন ওই ব্যক্তি। এই সময়সীমার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার ওঠানামা করলেও ডাকঘরের মেয়াদি আমানতে সুদের হারে কোনও বদল করবে না সরকার।