শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র।
রাজ্যে আবাসন শিল্পে চাহিদা যথেষ্ট বলে দাবি করলেন অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। জানালেন, বিশেষত কম দামি আবাসন বিক্রিতে পশ্চিমবঙ্গের সাফল্য উত্তর ও পশ্চিম ভারতের চেয়ে অনেক বেশি। আর সেই সাফল্য তুলে ধরেই এখানে আবাসন ও নির্মাণ শিল্পের সামগ্রী ও যন্ত্র তৈরির সংস্থাগুলিকে লগ্নির ডাক দিলেন তিনি। সঙ্গে দিলেন প্রতিশ্রুতিও, আগ্রহী লগ্নিকারীকে পানাগড় শিল্পতালুকে এ জন্য সব মিলিয়ে ১০০ একর জমি দেওয়া হবে।
এ বছরের শেষে বেঙ্গালুরুতে সিআইআইয়ের উদ্যোগে নির্মাণ সামগ্রী, যন্ত্র ও প্রযুক্তির বাণিজ্য মেলা ‘এক্সকন’ হওয়ার কথা। শুক্রবার তারই রোড-শোতে অমিতবাবুর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে অবিক্রীত আবাসনের হার ২৩% কমেছে। অর্থাৎ, চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন শপিং মল মিলিয়ে মাত্র ৩.৭% খালি পড়ে। সেই সূত্রেই লগ্নির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পানাগড়ে নির্মাণ সামগ্রী ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্র তৈরির বিভিন্ন সংস্থাকে ১০০ একর জমি দিতে পারি। প্রয়োজনে আরও ১০০ একর দেওয়া হবে। সিআইআই লগ্নির বিষয়ে উদ্যোগী হোক। প্রস্তাব এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
নির্মাণ শিল্পের যন্ত্রাংশ সংস্থা সুইং স্টেটারের ভাইস চেয়ারম্যান তথা এমডি আনন্দ সুন্দরেসান জানান, কাঁচামালের জোগান সহজ হওয়ায় তাঁরা এ রাজ্যে লগ্নি করতে আগ্রহী। কিন্তু বাম আমলে শিল্পায়নে বাধা ও পরবর্তীকালে সিঙ্গুর থেকে টাটাদের বিদায়ের ঘটনায় রাজ্যের ভাবমূর্তির সমস্যা সেই পরিকল্পনায় ধাক্কা দিয়েছিল। তবে পানাগড়ে শিল্পমন্ত্রীর প্রস্তাব শুনে আশাবাদী তাঁরা। ৪-৫ একর জমি পেলে পরিষেবা ও যন্ত্র তৈরির কারখানা গড়ার কথা ভাবতে পারেন বলে জানান আনন্দ।
এ দিনই কলকাতায় চর্ম ও চর্মজাত পণ্যের এক মেলায় অমিতবাবু জানান, বানতলার চর্মশিল্পে লগ্নির সম্ভাবনা বাড়ার কথাও। আশা, পাঁচ বছরে সেখানে ব্যবসা ছোঁবে ৩০ হাজার কোটি টাকা (এখন ১৩,৫০০ কোটি)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy