ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্ব মন্দা যে অবশ্যম্ভাবী, তা আগেই জানিয়েছিল বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থা। মন্দা ডেকে না আনলেও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি যে মুখ থুবড়ে পড়বে, সেই আশঙ্কাও তারা শুনিয়ে রেখেছিল। এ বার ফিচ রেটিংস জানাল, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার নামতে পারে ২ শতাংশে। যা আদতে তিন দশক, অর্থাৎ ভারত মুক্ত অর্থনীতির জমানায় প্রবেশের পর সর্বনিম্ন। এতটা খারাপ ছবি না-দেখালেও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) জানিয়েছে, বৃদ্ধির হার হতে পারে ৪%। অন্য দিকে, করোনা মোকাবিলার জন্য শুক্রবারই ভারতের জন্য ১০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিয়া জর্জিয়েভা এ বারের মন্দাকে ‘নজিরবিহীন’ বলেছেন।
করোনার সংক্রমণের পর থেকে বিশ্ব-সহ ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করে চলেছে বিভিন্ন সংস্থা। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস ভারতের ৩.৫% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। পূর্বাভাস ছাঁটাই করে ৩.৬% করেছিল ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ। মুডি’জ় জানিয়েছিল, ২০২০ ক্যালেন্ডার বর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার হতে পারে ২.৫%। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি এখন যে ভাবে পরস্পরের উপরে নির্ভরশীল, তাতে বিশ্বের এক অংশে মন্দা এলে বাকি অংশেও তার প্রভাব পড়বেই। সেই অর্থে ভারতকেও কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। তবে সেই পরিস্থিতি কতটা কঠিন হতে চলেছে, তা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে এখনও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। বস্তুত, বিভিন্ন সংস্থার করা বৃদ্ধির পূর্বাভাসের মধ্যেও ফারাক অনেকটাই। এ দিনই ফিচ জানিয়েছে, আমেরিকা ও ইউরো অঞ্চলের মন্দার ধাক্কায় চলতি বছরে সারা বিশ্বের অর্থনীতি সরাসরি ১.৯% কমতে পারে।
করোনার মোকাবিলায় প্রথম পর্যায়ে ২৫টি দেশের জন্য মোট ১৯০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। যার সিংহভাগই পাচ্ছে ভারত। সংক্রমণের পরীক্ষা, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ও পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন খাতের জন্য এই তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy