E-Paper

খনিজ সন্ধানে বাংলায় চোখ

একদা রেলের জন্য কয়লা খুঁজতে ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ তৈরি হয়। কিন্তু এখন বেশি নজর দিচ্ছে গ্রাফাইট, তামা, টাংস্টেন, ভ্যানাডিয়ামের মতো খনিজে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:০৩
খনিজ সন্ধানের ক্ষেত্রে অন্যতম লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি।

খনিজ সন্ধানের ক্ষেত্রে অন্যতম লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি। —প্রতীকী চিত্র।

দেশের নানা প্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের সন্ধানে নামছে ভারতীয় ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (জিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া)। আগামী ৪ মার্চ ১৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে বৃহস্পতিবার সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল অসিত সাহা জানান, সন্ধানের ক্ষেত্রে অন্যতম লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি। উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলেও খোঁজ চলছে। তাঁর ব্যাখ্যা, গাঙ্গেয় অববাহিকার বেশির ভাগ এলাকায় পলিগঠিত সমভূমি। জনবসতিও প্রচুর। তাই বিরাট পলিস্তর সরিয়ে এবং ওই জনবসতি স্থানান্তর করে খনিজ উত্তোলন সম্ভব নয়। পশ্চিমাঞ্চলে মালভূমি এলাকা সে দিক থেকে উপযোগী। উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলেও একই ধরনের ভূপ্রকৃতি হওয়ায়, সেখানেও নজর আছে তাঁদের।

একদা রেলের জন্য কয়লা খুঁজতে ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ তৈরি হয়। কিন্তু এখন বেশি নজর দিচ্ছে গ্রাফাইট, তামা, টাংস্টেন, ভ্যানাডিয়ামের মতো খনিজে। অসিত জানান, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির পাশাপাশি কালিম্পঙের গরুবাথানে সিসা, তামা, দস্তার সন্ধান করছেন তাঁরা। সোমালি দ্বীপ, জ়াম্বিয়া, আর্জেন্টিনার মতো দেশেও চলছে খনিজ সন্ধান।

খনিজ সন্ধানে কেন্দ্র ‘ন্যাশনাল মিনারেল এক্সপ্লোরেশন ট্রাস্ট’ গড়েছে। অসিত জানান, সেই কাজে সরকারি তালিকাভুক্ত বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও যুক্ত করা হবে। খনিজ সন্ধানের কাজে বাজেটে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ব্যবহৃত বৈদ্যুতিন সামগ্রী এবং বৈদ্যুতিন বর্জ্য থেকেও পুনর্ব্যবহারযোগ্য খনিজ বার করায় জোর দিচ্ছেন তাঁরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

GSI Mines

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy