ফের ‘‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং’ বা আইপিওর তালিকাভুক্তিতে বাম্পার রিটার্ন। শেয়ার বাজারে পা রাখার প্রথম দিনেই লগ্নিকারীদের পকেট ভরাল এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শাখা সংস্থা এইচডিবি ফিন্যান্সশিয়াল সার্ভিসেস। তারপর দিনভর সেনসেক্স এবং নিফটির সূচক নিম্নমুখী থাকলেও বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেনি এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে স্টকের দর।
বুধবার, ২ জুলাই বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তি হয় এইচডিবি ফিন্যান্সের। ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম ওঠে ৮৩৫ টাকা। গত জুনে আইপিও আনে বেসরকারি ব্যাঙ্কটির শাখা সংগঠনটি। সেখানে স্টকের প্রাইস ব্যান্ড ছিল ৭৪০ টাকা।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, এক বছরের ফরোয়ার্ড প্রাইস-টু-বুকের নিরিখে এইচডিবি ফিন্যান্সের শেয়ারে তালিকাভুক্তির মূল্য বেড়েছে ৩.৪ গুণ। এই সূচক আর্থিক সংস্থাটির সমকক্ষ বজাজ় ফিন্যান্স এবং চোলা ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে কিছুটা কম। কিন্তু নিফটি-৫০র অন্তর্গত অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলির চেয়ে বেশি। উদাহরণ হিসাবে শ্রীরাম ফিন্যান্সের কথা বলা যেতে পারে। এক বছরের ফরোয়ার্ড প্রাইস-টু-বুকের দিক থেকে এই সংস্থার থেকে দু’গুণ বেশি দাম এ দিন এইচডিবি ফিন্যান্সের স্টকের দাম ওঠে বলে জানা গিয়েছে।
তালিকাভুক্তির পরে অধিকাংশ আর্থিক বিশ্লেষক এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শাখা সংস্থাটির শেয়ারকে বাই রেটিং দিয়েছেন। তাঁদের অনুমান, অচিরেই স্টকটির দাম ৯০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ এতে ২২ শতাংশের বৃদ্ধি দেখতে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাঁদের অনুমান, আগামী তিন বছরের মধ্যে ২০ শতাংস চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পাবে এইচডিবির অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজ়মেন্ট (এইউএম)। ফলে শেয়ারটির সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
এদিন বাজার বন্ধ হলে দেখা যায় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বা বিএসইর সূচক পড়ে গিয়েছে ২৮৭.৬০ পয়েন্ট। ফলে সেনসেক্স নেমে এসেছে ৮৩ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে। এতে ০.৩৪ শতাংশের পতন দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে নিফটি-৫০ দৌড় থামিয়েছে ২৩ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা এনএসইতে ৮৮.৪০ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে, যেটা ০.৩৫ শতাংশের সমান।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)