ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম তলানিতে। এই পরিস্থিতি সাধারণ ভাবে দেশের আর্থিক অবস্থার পক্ষে প্রতিকূল। কিন্তু তাতে কার্যত পোয়াবারো তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির। কারণ, বিদেশি বরাতে তারা আয় করে ডলারে। ভাঙায় টাকায়। ফলে ডলারের দাম বাড়লে টাকায় বাড়ে তাদের আয়ও। মূলত এই কারণেই এ দিন হু হু করে বেড়ে গিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার দর। যা দিনের শেষে সেনসেক্সকে তুলেছে ২৬,৩১৬.৩৪ অঙ্কে। আগের দিনের থেকে ৪৫৬.১৭
পয়েন্ট বেশি। নিফ্টি ১৪৮.৮০ পয়েন্ট বেড়ে থিতু হয়েছে ৮,১১৪.৩০ অঙ্কে।
এ দিকে, শুক্রবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাকাও। আগের দিন ৩০ পয়সা পড়ে টাকা তার ইতিহাসে সব থেকে তলানি ছুঁয়ে ফেলার পরে এ দিন ডলারের সাপেক্ষে ২৭ পয়সা বেড়েছে ভারতীয় মুদ্রার দাম। লেনদেনের শেষে প্রতি ডলার দাঁড়ায় ৬৮.৪৬ টাকায়।
বৃহস্পতিবার টাকার পতন রেকর্ড ছোঁয়ার পরে অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর ছিল, ডলারের দাম ৬৯-এ পৌঁছলেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টাকার পতন রোখার জন্য পদক্ষেপ করবে। কিন্তু এই দিন টাকার দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে তার আর তেমন প্রয়োজন হয়নি।
এই দিন প্রায় প্রতিটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার শেয়ারের দামই বেড়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে টিসিএস (৫.২৩%), ইনফোসিস (৪.৭৮%) এবং উইপ্রো (৩.০৯%)।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দিন শেয়ার বাজারের উত্থানের অন্যতম কারণগুলি ছিল— l দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে বলে রেটিং সংস্থা ফিচ-এর পূর্বাভাস l বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির বহর খানিকটা কমা। এ দিন তারা মাত্র ২৪০ কোটি টাকার শেয়ার বেচেছে। যেখানে আগের দিন বিক্রি করেছিল ২০১০ কোটি টাকার শেয়ার l ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির শেয়ার কেনা। তারা কিনেছে ৯৫০ কোটি টাকার শেয়ার l পড়তি বাজারে ভাল সংস্থার শেয়ার কেনার হিড়িক।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার এখন টানা না-ওঠারই সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে লগ্নিকারীদের সতর্ক হয়ে পা ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy