রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই পশ্চিমের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে ভারতের। আমেরিকা প্রকাশ্যে এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইঙ্গিতে বলছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা মানে প্রকারান্তরে যুদ্ধে মদত দেওয়া। অথচ কূটনৈতিক সূত্রের খবর, শীঘ্রই মস্কো একটি তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে। সেখানে ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালি, হাঙ্গেরির মতো বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশের সংস্থার নাম থাকবে, যারা যুদ্ধের মধ্যেই নিয়মিত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে রুবল (রাশিয়ার মুদ্রা)-ইউরোয় (ইউরোপীয় অঞ্চলের মুদ্রা) বাণিজ্য চালু করে!
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, যারা ভারতকে টাকা-রুবল বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য না-করতে বিভিন্ন উপদেশ দিচ্ছে, তাদের দেশের তেল সংস্থাগুলিই রাশিয়া থেকে আমদানি চালাচ্ছে। এর মধ্যে দ্বিচারিতা রয়েছে।
মার্চের শেষে ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনই রাশিয়া আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ে ঘোষণা করে, কিছু কিছু দেশকে রুবলেই তেল ও গ্যাসের দাম চোকাতে হবে। সূত্রের খবর, ইউরোপের বহু সংস্থাই রাশিয়ার এই নির্দেশিকা মান্য করে বানিজ্য চালাচ্ছে। অর্থাৎ, নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই এমন রাশিয়ার ব্যাঙ্কে ইউরো ও রুবলের দু’টি আলাদা অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। ইউরোপ দাম মেটাচ্ছে ইউরোতে, যা ওই ব্যাঙ্কেরুবলে বদলানো হচ্ছে। এই সংস্থাগুলিরসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, বুলগেরিয়ায় রাশিয়া তেল সরবরাহ বন্ধ করার পরে। এই সব দেশ রুবলে দাম মেটানো নিয়ে রাশিয়ার বাণিজ্য বিধি মানতে অগ্রাহ্য করেছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।