২০৩০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে বলে জানাল এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। আজ এক রিপোর্টে মূল্যায়ন সংস্থাটি বলেছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে সেই জায়গা পোক্ত ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে তারা। তবে একই সঙ্গে জনবিস্ফোরণ নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে পরিষেবা এবং লগ্নির চাহিদার সামনে। আর এক মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ়ের বক্তব্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সাবেক জ্বালানি চালিত গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাপে পড়তে পারে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার কর্মসূচি।
আজ এসঅ্যান্ডপি দাবি করেছে, আগামী কয়েক দশকে বিশ্ব অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে উন্নয়নশীল দেশগুলি। বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে তাদের অবদান হবে ৬৫%। এদের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবে ভারত, চিন, ভিয়েতনামের মতো দেশ। আর ২০৪৭ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে ভারত। তবে একই সঙ্গে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘২০৩৫ সালে বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশও হবে ভারত। সেই চ্যালেঞ্জও হয়ে উঠবে তাৎপর্যপূর্ণ। নাগরিকদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিষেবা এবং লগ্নিও প্রয়োজন হবে।’’
মুডি’জ়ের রিপোর্ট, এই বছর ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৭.২% এবং ২০২৫-এ ৬.৬%। তবে অর্থনীতির অগ্রগতি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আগামী দিনে জীবাশ্ম জ্বালানি এবং গাড়ির বর্ধিত চাহিদার মুখোমুখি হতে হবে। তা পূরণ করতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারও বাড়বে। যার ফলে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)