E-Paper

চিন থেকে পণ্য এনে সরাসরি আমেরিকায় রফতানি নয়, সতর্ক করল বাণিজ্য উপদেষ্টা

সমস্ত দেশের পণ্যের উপরে ন্যূনতম ১০% আমদানি শুল্ক বসিয়ে অতিরিক্ত শুল্কে ৯০ দিনের বিরতি দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুধু চিনের উপরে চাপিয়েছে ২৪৫% পর্যন্ত শুল্ক।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৩৫
চিনা পণ্য হিসেবে ধার্য করলে ২৪৫% পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বসাতে পারে আমেরিকা।

চিনা পণ্য হিসেবে ধার্য করলে ২৪৫% পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বসাতে পারে আমেরিকা। —প্রতীকী চিত্র।

চিন থেকে কোনও পণ্য আমদানি করে, তাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না এনেই আমেরিকায় রফতানির ব্যাপারে সতর্ক করল ভারতের বাণিজ্য উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই। রফতানিকারীদের উদ্দেশে তাদের পরামর্শ, চিন থেকে আনা পণ্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত পণ্যের রূপ দিন। যাতে তাকে ভারতে উৎপাদিত পণ্য হিসেবে তুলে ধরা যায়। না হলে তাকে চিনা পণ্য হিসেবে ধার্য করে ২৪৫% পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বসাতে পারে আমেরিকা। একই সঙ্গে তাদের পরামর্শ, ইস্পাত, খেলনা, বস্ত্রের মতো কিছু পণ্যের আমদানির দিকে নজর দিক কেন্দ্র। কম দামে তা ভারতের বাজারে ঢোকানো হচ্ছে বলে মনে হলে শাস্তিশুল্ক প্রয়োগ করুক।

সমস্ত দেশের পণ্যের উপরে ন্যূনতম ১০% আমদানি শুল্ক বসিয়ে অতিরিক্ত শুল্কে ৯০ দিনের বিরতি দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুধু চিনের উপরে চাপিয়েছে ২৪৫% পর্যন্ত শুল্ক। পাল্টা হিসেবে বেজিংও আমেরিকার পণ্যে মোটা শুল্ক প্রয়োগ করেছে। ফলে এই দুই দেশের মধ্যে পুরোদস্তুর শুল্ক যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে বিশ্ব বাণিজ্যে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ভারত চিন থেকে বিপুল পরিমাণে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করে। ফলে তার থেকে উৎপাদিত পণ্যেও আমেরিকার শুল্ক বিভাগ উৎস সংক্রান্ত বিধি প্রয়োগ করে বিপুল কর চাপিয়ে দিতে পারে। জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তবের বক্তব্য, ‘‘শুল্ক যুদ্ধ ভারতের রফতানিকারী সংস্থাগুলির সামনে বড় সুযোগ তৈরি করেছে। যদি তারা বিধি মেনে কাজ করতে পারে, তা হলে সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে।’’ তিনি জানান, আমেরিকার শুল্ক বিভাগ আমদানিকৃত পণ্যের উৎস কঠোর ভাবে খতিয়ে দেখে। যদি মনে করে চিন থেকে আনা কাঁচামালের বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি, তা হলে কিন্তু শাস্তি শুল্ক বসতে পারে।

জিটিআরআই আরও জানিয়েছে, রাসায়নিক এবং ওষুধের কাঁচামালের বাজারে চিনের বিপুল অংশীদারি রয়েছে। ২০২৪ সালে আমেরিকা এই ক্ষেত্রের ১৬.৫৫ কোটি ডলারের কাঁচামাল আমদানি করেছিল। যেখানে চিনের ভাগ ছিল ৯.৭%। এই বাজারটি ধরার জন্য সক্রিয় হতে পারে ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলিও।


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

US Tariff War Export Industry

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy