নজর: সেনসেক্সের রেকর্ড উত্থানের দিনে বিএসই-র বোর্ডে চোখ পথচারীর। বৃহস্পতিবার বিএসই-র বাইরে। পিটিআই
আবার স্বপ্নের দৌড় দেখল শেয়ার বাজার। গত সপ্তাহে সেনসেক্স এক সময়ে পৌঁছেছিল রেকর্ড উচ্চতায়। বৃহস্পতিবার তা ছুঁয়েছিল ৪০,৩৯২ পয়েন্ট। পরে অবশ্য সূচক নেমে সপ্তাহ শেষ করে ৪০,১৬৫ অঙ্কে। নিফ্টি থামে ১১,৮৯২ অঙ্কে। এ বারের দৌড়ে কিছুটা শামিল হয়েছে মাঝারি ও ছোট শেয়ারের একাংশ। ফলে বেড়েছে বিভিন্ন ইকুইটি ফান্ডের ন্যাভ। সব মিলিয়ে খুশি লগ্নিকারীরা।
এখন প্রশ্ন হল, এই উচ্চতা বাজার দরে রাখতে পারবে কি না। অর্থনীতির গতি যখন ভাল রকম শ্লথ, তখন এই উত্থান অবাক করেছে অনেককেই। বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সূচককে শক্তি জুগিয়েছে ডিভিডেন্ড বণ্টন কর, দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভকর ও ব্যক্তিগত আয়কর বদলের আশা, উৎসবের মরসুমে গাড়ি বিক্রি ও কিছু পণ্যের চাহিদার সামান্য বৃদ্ধি, বিদেশি লগ্নিকারীদের বাজারে ফেরা ইত্যাদি।
অথচ বিভিন্ন পরিসংখ্যানই বলছে, অর্থনীতির হাল তেমন ভাল নয়। সেপ্টেম্বরে পরিকাঠামো শিল্প সরাসরি কমেছে ৫.২%। যা ১৪ বছরে সব চেয়ে কম। এর বিরূপ প্রভাব পড়বে জিডিপির উপরে। ফলে চিন্তা বাড়াবে কেন্দ্রের। তাই সূচক উঠলেও, সময় লাগবে অর্থনীতিতে সুদিন ফিরতে।
এ দিকে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসেই রাজকোষ ঘাটতি পৌঁছেছে লক্ষ্যমাত্রার ৯২.৬ শতাংশে। অর্থনীতিকে টেনে তুলতে আয় বৃদ্ধি ও ব্যয় ছাঁটাই করতে হবে কেন্দ্রকে। কিন্তু বেশি ঋণ নিলে নগদে টান পড়বে। শিল্প ধাক্কা খাওয়ায় জিএসটি আদায় কমেছে। এই অবস্থায় কেন্দ্র কতটা কর কমাতে পারে, তা নিয়ে সংশয় আছে।
চিন্তা রয়েছে কাজকর্মের অবস্থা নিয়েও। পরিসংখ্যান বলছে অক্টোবরে বেকারত্বের হার বেড়ে পৌঁছেছে ৮.৪৮ শতাংশে। তিন বছরে সব চেয়ে বেশি। আবার উৎসবে গাড়ি বিক্রি বাড়লেও, তা ধরে রাখা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অর্থাৎ বাজারের এই উত্থানেও তীক্ষ্ণ নজর রেখে লগ্নির সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিনিয়োগকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy