ফের বড় ধস নামল মুম্বইয়ের শেয়ার বাজারে। বৃহস্পতিবার সকালে বাজার খোলার পরপরই হুড়হুড়িয়ে নামতে থাকে দামি শেয়ারগুলির দাম। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) ও টাটা স্টিলের মতো শেয়ারেরও এ দিন কোনও ‘ওজন’ ছিল না দামের দাঁড়িপাল্লায়।
এ দিন সকালে শেয়ার সূচক পড়ে যায় এক হাজার পয়েন্ট। নেমে যায় ৩৪ হাজারের নীচে। সূচক থমকে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৭২৩.৫৩ পয়েন্টে। যার ধাক্কায় লগ্নিকারীদের ক্ষতি হয়েছে তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
ডলারের তুলনায় আরও পিছোল টাকা
বিদেশি মুদ্রা বাজার (ফরেক্স মার্কেট)-এ বৃহস্পতিবার সকালে দামের নিরিখে মার্কিন ডলারের সঙ্গে দৌড়ে আরও পিছিয়ে (২৪ পয়সা) পড়ে টাকা। এক মার্কিন ডলারের দাম দাঁড়ায় ৭৪.৪৫ টাকা। যা আপাতত একটি সর্বকালীন রেকর্ড।
আরও পড়ুন- আশ্বাসে কাজ হল না, সূচক পড়ছেই
আরও পড়ুন- সূচক পড়ল ৫৫১, উদ্বিগ্ন লগ্নিকারীরা
দু’-এক দিন বাদ দিলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পড়তির ধাক্কা সামলাতে হয়েছে শেয়ার বাজারকে। তবে সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা শেয়ার বাজারকে খেতে হল এ দিন ‘লক্ষ্ণীবার’-এই।
দামি শেয়ারে ধাক্কা, ক্ষতি বিনিয়োগকারীদের
হু হু করে ভাল শেয়ারগুলির দাম পড়তে থাকায় এ দিন বাজারে লগ্নি করা নামী শিল্পসংস্থাগুলির মূলধনের পরিমাণ জোর ধাক্কা খেয়েছে। বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধনের (মার্কেট ক্যাপিটাল) পরিমাণ ৩ লক্ষ ৫ হাজার ৬২৫.৮৭ কোটি টাকা কমে গিয়েছে। তার ফলে, সেনসেক্স সকালে ৩৪ হাজারের নীচে নেমে গিয়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৭২৩.৫৩ পয়েন্টে।
শেয়ার বাজারের এ দিনের এই ধসের কারণ কী?
টরাস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান ধীরাজ সিংহ বলেছেন, ‘‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ধস নামছে শেয়ার বাজারে। তার কারণটা যেমন ছিল আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থা, তেমনই সেই ধসের জন্য দায়ী ছিল ‘আইএল অ্যান্ড এফএস এফেক্ট’-এর মতো কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সমস্যাও। কিন্তু এ দিনের ধসের মূল কারণটাই হল, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামবৃদ্ধি আর দামের নিরিখে মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার পিছিয়ে পড়া।’’