—প্রতীকী চিত্র।
নরম পানীয় না চা-কফি— তরুণ প্রজন্ম কোনটিতে মজে, তা নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। তবে চায়ের বাজারে বিক্রির শ্লথ গতির জন্য কম দামি নিচু মানের চা-কেও দায়ী করছে ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন সিস্টা। এগুলি আটকানোর আর্জি জানিয়েছে টি বোর্ডের কাছে। তাদের দাবি, এতে নতুন ক্রেতা তৈরি হচ্ছে না। আগ্রহ কমছে চায়ে অভ্যস্তদেরও।
শিল্পের মতে, সাত বছরে দেশে চায়ের দাম তেমন বাড়েনি। এ জন্য দায়ী চাহিদার থেকে বেশি জোগান, পাইকারি দামে ঝিমুনি, রফতানিতে ধাক্কা ইত্যাদি। দামে স্বচ্ছতা বাড়াতে অনেকে আরও বেশি চা নিলামের পক্ষে সওয়াল করেছে। একাংশ বলছে, চিন্তা বাড়াচ্ছে গুণগত মানে ঘাটতি। যে কারণে মানোন্নয়ন চাইছে সরকার, শিল্প-সহ সব পক্ষ। এ নিয়ে টি বোর্ড-ও চা শিল্পকে নির্দেশ দিয়েছে।
চায়ের বাজার বাড়াতে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা বাণিজ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব এ এস ভাটিয়াকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দিয়েছেন সিস্টার প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। প্রচার কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে স্বাগতও জানালেও তাঁদের দাবি, বাজারে নিম্নমানের (নিলামে দাম ওঠে কেজিতে ৮০-৯০ টাকা) চা বেড়েছে। যার দাম কম। এমন চা উৎপাদন ও মোড়কে ভরার প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। কারণ, তা চা-পানে আগ্রহ কমাচ্ছে। সিস্টার প্রস্তাব, ১৮-২২ বছর বয়সিদের (জনসংখ্যার ২১%) একাংশ চা-পান করেন না। তাঁদের পছন্দ নরম পানীয় বা দামি কফি। সেই বাজার ধরতে প্রচার জরুরি। জানানো দরকার, চা স্বাস্থ্যকর পানীয়। মেট্রোর পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরের কলেজে চা উৎসব করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy