প্রতীকী ছবি।
চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের পক্ষে কর আদায়ের লক্ষ্য ছোঁয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করেন প্রাক্তন অর্থসচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ। এক ব্লগে তিনি লিখেছেন, নিট হিসেবে কর বাবদ আয় লক্ষ্যের চেয়ে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা (জিডিপির ১.২%) কম হবে বলে ধারণা। যা খরচে রাশ টেনে বা অন্য আয় থেকে পূরণ করা যাবে না। ফলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াতে পারে রাজকোষ ঘাটতি। গর্গের মতে, কেন্দ্রের উচিত কর ব্যবস্থার সংস্কার করা। যার মধ্যে থাকতে পারে ডিভিডেন্ড বণ্টন কর তোলার মতো পদক্ষেপ। সেস ও সারচার্জ তুলে আয়করের হার চারটিতে বাঁধার কথাও বলেন তিনি।
কেন্দ্রের লক্ষ্য চলতি অর্থবর্ষে সব মিলিয়ে ২৪.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা কর আদায়। কিন্তু তা এখনও বহু দূর। এই অবস্থায় অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে ফের জিএসটি আদায়ের নতুন লক্ষ্য বেঁধেছে কেন্দ্র। ঠিক হয়েছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে তা হতে হবে ১.১৫ লক্ষ কোটি করে। মার্চে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। কর্পোরেট কর কমানো হলেও, প্রত্যক্ষ কর আদায়ের লক্ষ্য রাখা হয়েছে ১৩.৩৫ লক্ষ কোটিই।
গর্গের মতে, রাজ্যগুলির জন্য ৮.০৯ লক্ষ কোটি সরিয়ে রাখলে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে এ বছর কেন্দ্রের হাতে আসার কথা ১৬.৫০ লক্ষ কোটি। যা ২০১৮-১৯ সালের ১৩.৩৭ লক্ষ কোটির চেয়ে ৩.১৩ লক্ষ কোটি টাকা বেশি। কিন্তু এই বছরে তা পূরণ হওয়া কঠিন। বিশেষ করে কর্পোরেট কর আদায় কমতে পারে ৮%। উৎপাদন ও আমদানি শুল্ক আদায় যথাক্রমে ৫% ও ১০% কমার আশঙ্কা। সব মিলিয়ে কেন্দ্রের ঘরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৫-৩.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা কম আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির বরাদ্দও কমবে। তখন নিট হিসেবে রাজকোষে কম ঢুকবে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি।
গর্গের আশঙ্কা, কর আদায় সত্যিই এতটা কম হলে সেই ফাঁক খরচ কমিয়ে বা অন্যান্য খাতে আয় থেকে ভরাট করা সম্ভব হবে না। তখন কেন্দ্রকে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করতে হবে। ৩.৩% থেকে তা ৫০-৭০ শতাংশ বিন্দু বাড়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy