Advertisement
E-Paper

নাব্যতা এড়াতে সাগরে বড় জাহাজ

নাব্যতা সমস্যার দরুন বিরাট আকারের জাহাজ কলকাতা বা হলদিয়া বন্দরে নোঙর করতে পারে না। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তাই সাগরে এগুলি আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই মতোই সম্প্রতি প্রথম বার সাগরে এসেছে ‘কেপসাইজ’ গোত্রের পণ্যবাহী জাহাজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৮ ০২:৩০

নাব্যতা সমস্যার দরুন বিরাট আকারের জাহাজ কলকাতা বা হলদিয়া বন্দরে নোঙর করতে পারে না। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তাই সাগরে এগুলি আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই মতোই সম্প্রতি প্রথম বার সাগরে এসেছে ‘কেপসাইজ’ গোত্রের পণ্যবাহী জাহাজ। সাইপ্রাসের এমভি কিশোর। ইন্দোনেশিয়া থেকে এনেছে কয়লা। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, সাম্প্রতিক কালে এত বড় জাহাজ বাংলা উপকূলে আসেনি।

মাঝ সাগরে ‘লাইটারেজ পয়েন্ট’-এ (মাঝ সমুদ্রের যে স্থানে পণ্য খালাস করা যায়) ভাসমান ক্রেন বসিয়ে ৫৪ হাজার টন কয়লা নামানো হয়েছে। ৪টি ছোট জাহাজ তা বয়ে এনেছে হলদিয়া বন্দরে। হলদি নদীর ধারে বসানো স্বয়ংক্রিয় ক্রেনের সাহায্যে সেগুলি নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমারের দাবি, ‘‘নদী বন্দরের নাব্যতা সমস্যার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। মাঝ সাগরে ভাসমান ক্রেন দিয়ে পণ্য নামানো সফল। এ ভাবে বছরে আড়াই লক্ষ টন পণ্য নামানো যাবে।’’ তাঁর মতে, বন্দরে ২০-২৫ হাজার টনের বেশি পণ্যবাহী জাহাজ আসে না। কিন্তু ‘কেপসাইজ’ গোত্রের এলে দ্বিগুণ পণ্য আনা যাবে। ফলে জাহাজের খরচ কমবে।

কুমারের দাবি, এতে কোনও লগ্নি না করেও বন্দর টনে প্রায় ১০০ টাকা আয় করছে। ক্রেন ও জেটি গড়েছে রিল্পে ও বোথরার মতো সংস্থা। রাজস্ব ভাগাভাগির শর্তে পণ্য নামানোয় সায় দেওয়া হয়েছে তাদের। বেসরকারি লগ্নি এসেছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

Capesize Vessel Kopt Kolkata Port Trust
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy