আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশে নতুন শ্রমবিধি কার্যকরের পরিকল্পনা কেন্দ্রের। বুধবার শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় জানান, এর জন্য নিয়ম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য, সকলকেই তা তৈরি করতে হবে। কেন্দ্র খসড়া প্রকাশ করবে সব পক্ষের মতামত নিতে। তার পরে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিয়ম চালু হবে পাকাপাকি ভাবে।
দেশের ২৯টি শ্রম আইনকে মিশিয়ে চারটি শ্রমবিধি আনা হয়েছে। সেগুলি হল— মজুরি, কর্মী ও মালিকের সম্পর্ক, কর্মীর সামাজিক সুরক্ষা এবং কর্মস্থলের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ। তবে শ্রম কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকায় থাকায় এই বিধি চালু করার নিয়ম আনতে হবে রাজ্যগুলিকেও। যদিও বেশ কিছু রাজ্য এখনও সব বিধির নিয়ম তৈরি করেনি। আর পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করেনি কোনও বিধিরই।
এ দিন বণিকসভা সিআইআইয়ের এক কর্মসূচিতে মন্ত্রীর দাবি, কর্মীর কল্যাণে বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে নতুন শ্রম বিধিতে। যদিও অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠন বিরোধিতায় অনড়। এ নিয়ে আলোচনার জন্য ১৯ ডিসেম্বরে কেরলে ১০টি কেন্দ্রীয় কর্মী সংগঠনকে আহ্বান জানিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘শ্রম বিধিগুলি চালু হলে দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে আদায় করা অনেক অধিকারই হারাবেন শ্রমিকরা। কাজের সময়, মালিকদের শ্রমবিরোধী পদক্ষেপের বিরোধিতার অধিকার খর্ব হবে।’’ আইএনটিইউসি রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার বলেন, ‘‘আপত্তিকর ধারাগুলির অন্যতম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে আইনি বৈধতা দেওয়া। এতে তাঁরা বহু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)