সরেজমিনে: জমি দেখছেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ দিনের জটিলতা কাটিয়ে হাওড়ার জগদীশপুর হোসিয়ারি পার্কে জমি দেওয়া শুরু হল। ১২৫ একর জমির নিয়ে তৈরি এই হোসিয়ারি পার্কে বড়-মাঝারি মিলে প্রায় ২৫০টি সংস্থা হোসিয়ারি পণ্য তৈরির কারখানা করবে। তাতে বিনিয়োগ হবে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা। মঙ্গলবার প্রথম ধাপে রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে ১৭টি সংস্থাকে জমির প্লট বিতরণ করা হয়েছে। তারা খুব শীঘ্রই ওই পার্কে কারখানা তৈরির কাজ শুরু করবে।
বাম আমলে ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ হোসিয়ারি সমিতি এই পার্ক তৈরির পরিকল্পনা নেয়। ওই সময়ে রাজ্য সরকার সমিতিকে ১৫ একরের মতো জমি অধিগ্রহণ করে দেয়। বাকিটা সমিতির পক্ষ থেকে সরাসরি জমি-মালিকদের কাছ থেকেই কেনা হয়। কিন্তু প্রকল্প শুরুর সময় থেকেই জল, রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মাঝে ওই প্রকল্প এলাকার মধ্যে জলা-জমি রয়েছে এমন অভিযোগে মামলাও হয়। সে বাধাও কাটিয়ে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র হাতে পায় প্রকল্পটি। ধাপে ধাপে প্রায় সব বাধা কাটিয়ে ন’বছর পরে জগদীশপুর হোসিয়ারি পার্ক বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সমিতির অন্যতম সহ-সভাপতি বিঠল দাস কোঠারি দাবি করেছেন, পার্কের জন্য বিদ্যুৎ, জল, রাস্তা-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আরও ১০০টি সংস্থাকে প্লট দিয়ে দেওয়া হবে। তারাও ইচ্ছে করলে এ বছর থেকেই কারখানা তৈরির কাজে হাত দিতে পারবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
হোসিয়ারি শিল্পের প্রায় সমস্ত বড় ব্র্যান্ডেড সংস্থা এখানে কারখানা করবে বলে জমি কিনেছে। এদের মধ্যে রয়েছে রূপা, আমুল, ডালাস, লাক্স, টিটি, কোঠারি। এই সংস্থাগুলির জন্য ১৭৫টি প্লট তৈরি করা হয়েছে।
পাশাপাশি, আরও ৮০টি ছোট সংস্থার জন্য ছোট মাপের জমি ও সাধারণ পরিষেবা ভবন (কমন ফেসিলিটি সেন্টার) তৈরি হবে। ৩৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এই হোসিয়ারি পার্ক তৈরির জন্য। কোঠারি জানিয়েছেন, প্রতিটি সংস্থাই এখানে হোসিয়ারি পণ্য-সহ এই শিল্পের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy