বেহাল বাজারে কিছুটা প্রাণ ফিরল মঙ্গলবার। এর আগে টানা তিন দিন সেনসেক্স পড়েছিল ৬৬৫ পয়েন্টেরও বেশি। এ দিন সেই প্রবণতা ঝেড়ে ফেলে সেনসেক্স বাড়ল ২৯১.৪৭ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৪,৪৭৯.৮৪ অঙ্কে।
একই ভাবে তিন দিন ধরে মোট ৮৩ পয়সা পড়ার পর ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও এ দিন বেড়েছে ৩ পয়সা। ফলে এক ডলার হয়েছে ৬৭.৬৫ টাকা।
বাজার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, মূলত পড়তি বাজারে লগ্নিকারীদের শেয়ার কেনার জেরেই সূচকের মুখ ফিরেছে। পাশাপাশি, এ দিন চিনের আর্থিক বৃদ্ধির যে হার প্রকাশিত হয়েছে, তাতেও কিছুটা হাঁফ ছেড়েছেন অনেকে। চলতি অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬.৮%। অনেকেই বলছেন, চিনের বৃদ্ধির হার ভাল না-হওয়া সত্ত্বেও কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন লগ্নিকারীরা। কারণ, সে দেশের সাম্প্রতিক সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের আশঙ্কা ছিল যে, তা আরও কমে যাবে। কিন্তু আগের ত্রৈমাসিকের থেকে তা কমলেও, তার পরিমাণ অতি সামান্য হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছেন তাঁরা। এর ফলেই চিনের শেয়ার বাজারও এ দিন উঠেছে। পাশাপাশি তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া এবং বিশ্বের আরও বেশ কিছু শেয়ার বাজারে। বাদ যায়নি ভারতও।
শেয়ার বাজার সূত্রের খবর, ভারতে গত তিন দিনের পতনে বহু ভাল সংস্থার শেয়ারের দাম তলানিতে এসে ঠেকেছে। এ দিন ওই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য লগ্নিকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার ধুম পড়ে য়ায়। তবে এই ঘুরে দাঁড়ানো কতটা স্থায়ী হবে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মনে। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিকের মতো বাজার বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, বাজারে শেয়ারের দাম যতটা সংশোধন হওয়া উচিত ছিল, তার পুরোটাই হয়ে গিয়েছে। তাই আর পড়া উচিত নয়।
তবে কৌশিকরা ওই কথা বললেও ভারতের শেয়ার বাজারে ওঠানামা এই মুহূর্তে প্রধানত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আর্থিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কী ঘটছে, তার উপরই নির্ভর করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অপর একটি অংশ। তাঁদের ধারণা, বাজেটের আগে বাজারের হাল ফেরার সম্ভাবনা কম।
এ দিন বাজারে দেখা গিয়েছে ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের। মাঝারি এবং ছোট মূলধনের (মিড ক্যাপ এবং স্মল ক্যাপ) সংস্থার সূচকও বেড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy