ফেসবুক খুললেই বিজ্ঞাপন। অমুক সংস্থা গয়না বা জামাকাপড়ে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। যে পোশাকটি পছন্দ হল, দেখা গেল সেটি মাত্র তিনটি রয়েছে। ৫০ শতাংশ ছাড়ও আর কয়েক ঘন্টা মিলবে। অনেক সময় অনলাইনে রান্নাঘরের-সহ বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে গিয়ে দেখলেন, যেটা কেনার জন্য ঝুড়িতে যোগ করেননি, তা-ও যোগ হয়ে দাম কেটে নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সবটাই আসলে ক্রেতাদের বোকা বানানোর কৌশল। অনলাইন বিপণি বা ই-কমার্স সংস্থাগুলির এই ভাবে সাধারণ ক্রেতাদের ফাঁদে ফেলাকে বলা হয় ‘ডার্ক প্যাটার্ন’। এর আগে কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রক একাধিক বার এই ‘ডার্ক প্যাটার্ন’ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। গত বছর দুর্গাপুজো-দীপাবলির মরসুমের আগে সেই চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এই ‘ডার্ক প্যাটার্ন’-এর মোকাবিলায় এ বার উদ্যোগী হয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল নিজেই।
সেই লক্ষ্যে আজ, বুধবার একগুচ্ছ ই-কমার্স এবং অনলাইন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত থাকবেন অ্যামাজ়ন, ফ্লিপকার্ট, ওয়ান-এমজি, বিগবাস্কেট, মেটা, ওয়টস্যাপ, মেক মাই ট্রিপ, যাত্রা, ইজ়মাইট্রিপ, পেটিএম, উব্র, ওলা, সুইগি, জ়্যোমাটোর মতো সংস্থার প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি, বিভিন্ন ক্রেতা সুরক্ষা সংগঠন এবং আইনি বিশেষজ্ঞেরাও বৈঠকে হাজির থাকবেন। সরকারের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ক্রেতাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরবেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনায় সমাধানের রাস্তা খোঁজা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)