—ফাইল চিত্র।
দেনার দায়ে ধুঁকছে এয়ার ইন্ডিয়া। রাষ্ট্রায়ত্ত এই বিমান সংস্থাটিকে চাঙ্গা করতে এ বার টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী সপ্তাহে রাজকোষ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা তুলে দেওয়া হবে তাদের হাতে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এক আধিকারিক শুক্রবার বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রায় এক দশক ধরে ধুঁকছে এয়ার ইন্ডিয়া। তাদের ঋণের বোঝা প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগে,ওই সংস্থা বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি কোনও সংস্থা। তাই সরকারের তরফেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিসেম্বর মাসে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এয়ার ইন্ডিয়াকে চাঙ্গা করার প্রস্তাব ওঠে। সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেটে বরাদ্দ টাকা ছাড়াও দ্বিতীয়বার বাড়তি ২ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন মেলে। সেই টাকা থেকেই আপাতত দেড় হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়াকে।
আরও পড়ুন: আরএসএসের সদর দফতরে যাওয়ার জন্যই কি ‘ভারতরত্ন’ প্রণব? দাবি জেডিএস-এর
আরও পড়ুন: ফের কামাল কুলদীপের, ৯০ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত
এ ছাড়াও, এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেট হোল্ডিং কোম্পানি নামে নতুন একটি সংস্থায় এয়ার ইন্ডিয়ার অর্ধেক ঋণ হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানই ওই সংস্থার শীর্ষে থাকবেন। সংস্থার সম্পত্তি ও মূল্যবার জিনিসপত্র বিক্রি করে ঋণ মেটানোর চেষ্টা করবেন তিনি। আপাতত ২৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেট হোল্ডিং কোম্পানিতে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এয়ার ইন্ডিয়ার ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকা। তখন বিনিয়োগের অভাব হবে না বলে আশা সরকারের।
লোকসভা নির্বাচনের আগে, ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে অন্তর্বর্তিকালীন বাজেট পেশ করবে সরকার। তাতে এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকবে কিনা, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
ইউপিএ জমানাতেও এয়ার ইন্ডিয়ার সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিমান সংস্থার কাজকর্ম খতিয়ে দেখে তাদের জন্য ১০ বছরে ৩০ হাজার ২৩১ কোটি টাকার ঋণ ঘোষণা করে তারা। ২০১২ সাল থেকে সেই ঋণ চালু রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy