প্রতীকী ছবি
লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড। কিন্তু মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ় ইনভেস্টর্স সার্ভিসের পূর্বাভাস, ২০২০ সালের প্রথম দু’টি ত্রৈমাসিকেই অর্থনীতি যে ধাক্কা খেয়েছে, তাতে এ বছর তার বহর সঙ্কুচিত হওয়া অবশ্যম্ভাবী। সোমবার তাদের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, চলতি ক্যালেন্ডারবর্ষে ভারতের অর্থনীতি সরাসরি ৩.১% কমবে। আর জি-২০ গোষ্ঠীর অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে ৪.৬%। এই গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে একমাত্র চিনের ১% আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে।
সম্প্রতি লাদাখে সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত এবং চিন। এরই প্রেক্ষিতে এশিয়ার দেশগুলিকে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থাটি। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনের সঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরের সীমান্তবর্তী দেশগুলির উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এরই মধ্যে ভারতের সীমান্তে সংঘর্ষ হয়েছে ভারত এবং চিনের সেনার মধ্যে। যার ফলে এই গোটা অঞ্চলেই ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি বেড়ে চলেছে।
এ দিনই আর এক মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংসের পূর্বাভাস, অদূর ভবিষ্যতে আর এক দফা ত্রাণ প্রকল্প আনতে পারে কেন্দ্র। তবে সে ক্ষেত্রে ভারতের মূল্যায়নের উপর তার কোনও বিরূপ প্রভাব পড়বে না। জিডিপির আরও ১% ত্রাণের জন্য খরচ করা হবে ধরে নিয়েই সাম্প্রতিকতম মূল্যায়ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ‘স্থিতিশীল’ থেকে কমিয়ে ‘ঋণাত্মক’ করেছিল ফিচ। তবে ভারত সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব পড়েছে দেশের মোট ন’টি ব্যাঙ্কের উপরে। স্টেট ব্যাঙ্ক, এগজ়িম ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, ব্যাঙ্ক অব বরোদা (নিউজ়িল্যান্ড), ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, কানাড়া ব্যাঙ্ক, পিএনবি, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিও ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘ঋণাত্মক’ করা হয়েছে।
রেটিং সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রভাবও আপাতত ভারতের মূল্যায়নে পড়ার ভয় নেই। তবে এই ধরনের সমস্যায় সংস্কারের কাজ পিছোতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy