ভারতে মূল্যবৃদ্ধির হার যে রকম ‘অস্বস্তিজনক উঁচু’, তা এশিয়ার অর্থনীতিগুলির মধ্যে ব্যতিক্রমী বলে মঙ্গলবার দাবি করল উপদেষ্টা সংস্থা মুডি’জ় অ্যানালিটিক্স। আর তাদের সেই দাবির প্রধান কারণ দীর্ঘ দিন ধরে লাগাতার বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া পেট্রল-ডিজেলের দাম। যে দাম হালে কিছুটা কমেছে ঠিকই। কিন্তু আগামী দিনেও কমবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই।
মুডি’জ় বলেছে, জ্বালানির চড়া দর খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হারকে ঠেলে তুলছে। তাই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক হয়তো সুদ কমাতে পারবে না। উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর জন্য শিল্পের লগ্নির খরচ যেমন আরও কম হওয়া দরকার, তেমনই চাহিদা বাড়াতে আরও কম খরচে ঋণের সুবিধা দেওয়া দরকার আমজনতাকেও। যার অন্যতম পথ সুদ কমানো। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির হার অস্বস্তি বাড়ানোর জায়গায় থাকলে যে সেই পদক্ষেপ করা হবে না, তা এর আগের চার ঋণনীতিতেই সুদ না-কমানোর যুক্তি হিসেবে স্পষ্ট জানিয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। অথচ ফেব্রুয়ারিতে ফের ৫% ছাড়িয়ে গিয়েছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি।
মুডি’জ়ের দাবি, এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলেই মূল্যবৃদ্ধির হার এখন কম। কিন্তু ভারত এবং ফিলিপিন্স ব্যতিক্রম। সেখানে ওই হার স্বস্তি দেওয়ার জায়গায় নেই। বরং নীতিপ্রণেতাদের সামনে আগামী দিনে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ভারতে মূল্যবৃদ্ধির হারকে উদ্বেগজনক তকমা দিয়ে তাদের বক্তব্য খাদ্যপণ্যের দামে অস্থিরতা এবং চড়া তেলের দামই এর জন্য দায়ী। ফলে মূল্যবৃদ্ধি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সহনসীমা (৪%+২/-২) পেরোচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy